প্রতিবেদন : কয়েকদিন আগে যুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রুশ (Russia-Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। এমনকী, তাঁর বন্ধু চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে দিয়ে ফোন করিয়েছিলেন জেলেনস্কিকে। যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন জিনপিং। কিন্তু গত দু-দিন ধরে রাশিয়া নতুন করে ইউক্রেনের উপর ভয়ঙ্কর হামলা চালাতে শুরু করেছে। শুক্রবার মাঝরাতেও ইউক্রেনের উপর ভয়াবহ বিমান হামলা চালায় মস্কো। রাশিয়ার এই হামলায় পাঁচ শিশু-সহ অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন প্রায় ৬৮ জন। গত দুমাসে ইউক্রেনের উপর এটাই রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা।
আরও পড়ুন-আত্মঘাতী ৯ পড়ুয়া
ইউক্রেনীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার মাঝরাতে দেশের উমান শহরে ফের বিমান হামলা চালায় রাশিয়া (Russia-Ukraine)। হামলায় বেশ কয়েকটি বহুতল কার্যত আগুনের গোলায় পরিণত হয়। মাঝরাতে এই আক্রমণের কারণে বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেননি। তাই হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকারী দল এবং দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লোকজনকে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনা জানিয়েছে, রাশিয়ার এই হামলায় ২৭টি ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রাশিয়া নতুন করে হামলা শুরু করেছিল। প্রথম দিনের হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের।
রাশিয়ার এই হামলার কড়া নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। তিনি বলেছেন রাশিয়ার এই কাজ কাপুরুষোচিত। সময় মতোই আমাদের সেনা এর পাল্টা জবাব দেবে৷ মনে করা হচ্ছে, ইউক্রেনের প্রবল ঠান্ডা কারণেই এতদিন যুদ্ধের গতি কিছুটা মন্থর হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বসন্ত আসতেই ঠান্ডা কমেছে। সঙ্গে সঙ্গেই বেড়েছে যুদ্ধের ঝাঁজ। পশ্চিমি দুনিয়া ও আমেরিকার কাছ থেকে বেশ কিছু অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র পেয়েছে ইউক্রেন।