প্রতিবেদন: বলা যেতে পারে বেনজির। ২৪ সপ্তাহই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আইন। এই সময় পার হলে অন্তঃসত্ত্বাকে আর গর্ভপাতে অনুমতি দেওয়া যায় না। কিন্তু তবুও ২৮ সপ্তাহের এক নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতের আবেদনে শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবেদনের শুনানিও হল শুক্রবার। যৌন নির্যাতনের ফলে অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকার গর্ভপাত সম্ভব? শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকার গর্ভধারণের সময় ২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ প্রসবের সময় দূরে নেই৷ এই পরিস্থিতিতে ১৪ বছর বয়সি নাবালিকার গর্ভপাত করা উচিত কি না, সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ শুধু তাই নয়, ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাল থাকার বিষয়টিও যে জরুরি তাও বুঝিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-মধ্য ইরাকে বোমাবর্ষণে ধ্বংস ইরানপন্থী আধাসামরিক ঘাঁটি
এর আগে বম্বে হাইকোর্টে নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল পত্রপাঠ। আদালতের যুক্তি ছিল, সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাতে জন্ম হবে জীবিত শিশুরই। তাই আবেদন গ্রাহ্য করা সম্ভব নয়। তারপরেই শীর্ষ আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান নাবালিকার মা। তিনি জানান, তাঁর মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলাও চলছে। সেই আবেদনের শুনানি হল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে। শুনানি শেষে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশও দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। সিওন হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্টকে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ বোর্ড তৈরি করে নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-দেশ-বিদেশের বিমানবন্দর
শুধু তাই নয়, মহারাষ্ট্র সরকারকেও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, নাবালিকাকে নিয়ে মায়ের হাসপাতালে যাতায়াতের যাবতীয় ব্যবস্থা করতে হবে। নাবালিকার শারীরিক পরিস্থিতি ঠিক কেমন, গর্ভপাত করালে কোনও ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে কি না— সেই বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করতে হবে শীর্ষ আদালতে। সোমবার সকালের মধ্যে জানাতে হবে মেডিক্যাল বোর্ডের মতামত। ওইদিনই পরবর্তী শুনানি।