মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম: ‘ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহলের মানুষের উন্নয়নের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে।’ শনিবার ঝাড়গ্রামে এসে বললেন সেচমন্ত্রী ডাঃ মানস ভুঁইয়া। এদিন সুবর্ণরেখা নদীর ভাঙন পরিদর্শন, জল ও সেচের উন্নয়নের জন্য ঝাড়গ্রামে এসে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করেন মানস। সঙ্গে ছিলেন দুই মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর ও বীরবাহা হাঁসদা। ছিলেন জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত, পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ ঘোষ, জেলার চার বিধায়ক, কৃষি, সেচ ও স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে এবার মোদিকে চিঠি মমতার
সার্কিট হাউসে বৈঠকের পর মানস ও হুমায়ুনের নেতৃত্বে জেলার চার বিধায়ক দুলাল মুর্মু, ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাতো,দেবনাথ হাঁসদা ও বীরবাহা হাঁসদা-সহ প্রতিনিধিদল ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ ও ২ নম্বর ও নয়াগ্রাম ব্লকের সুবর্ণরেখা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চোরচিতা, ছাতিনাশোল, পাতিনা ইত্যাদি এলাকা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন-‘সোনার ছেলে’ নীরজকে অভিনন্দন জানালেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী
প্রথমে ঝাড়গ্রামে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মানস বলেন, ‘ঝাড়গ্রামের আদিবাসী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাঁদের কষ্ট লাঘবের জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়গ্রাম এসেছি। ৯ তারিখ বিশ্ব আদিবাসী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে আসছেন। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয়।’ বৈঠকের প্রসঙ্গ তুলে মানস আরও বলেন, ‘কোন কোন জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙেছে। কোন কোন জায়গা ভাঙনের মুখে, কোথায় কোথায় বিপদ হতে পারে, কোথায় নদী তার গতিপথ পাল্টে ঢুকে পড়ছে, এসব নিয়ে আলোচনা জেলাশাসককে বলেছি, সবাইকে নিয়ে কী কী করণীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করতে হবে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকেও একটা রিপোর্ট দেব। বৈঠকের পর এই প্রতিনিধি দলটি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন।