ভূমিকম্পের জেরে বিধ্বস্ত জাপানের (Japan earthquakes) একাংশ। ভূমিকম্পের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি কম্পনে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ মাত্রা ৭.৬। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা।
আরও পড়ুন- বর্ষবরণে ক.ড়া পুলিশি পদক্ষেপ, ধৃ.ত ৪৫৭
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের (Japan earthquakes) উৎপত্তিস্থল ছিল হনসু দ্বীপের ইশিকাওয়া। এরপরই বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ৬। জাপানের পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে ফুঁসে ওঠে সমুদ্র, প্রায় ৪ ফুট উচ্চতা দেখা যায় ঢেউয়ের। ভূমিকম্পের পর এখনও পর্যন্ত জাপানের প্রায় ৩৩ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। সে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, অন্তত এক হাজার মানুষকে সেনা শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে মৃত বা আহতদের উদ্ধার করা সহজ কাজ নয়। মঙ্গলবার ভোরে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং হতাহতের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ওয়াজিমা। যদিও এতবার কম্পন নাকি আফটার শক হয়েছে তা নিয়ে ভূবিজ্ঞানীরা কিছুটা ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছেন।