প্রতিবেদন : আর্থিক প্রতারণা ও কারচুপির একের পর এক অভিযোগ উঠছে নরেন্দ্র মোদির ‘বন্ধু’ শিল্পগোষ্ঠী আদানিদের বিরুদ্ধে। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা কিনে ভুয়ো হিসাব পেশ করে দ্বিগুণ দাম দেখিয়েছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্ঠী। বর্ধিত দামের ভিত্তিতে বিদ্যুতের মাশুল বেড়েছে। আর তা দিতে হচ্ছে দেশের আমজনতাকে। জালিয়াতি করে এভাবেই সাধারণ মানুষের থেকে কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে আদানি গোষ্ঠী। মোদি-ঘনিষ্ঠ এই শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এবার ৩২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠল।
আরও পড়ুন-চাল দিতে দেরি, চালকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ
বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, আগে আমরা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ২০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু তা ভুল ছিল। কারণ দুর্নীতির অঙ্কটা তার চেয়েও অনেক বেশি। ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসের রিপোর্ট তুলে ধরে রাহুল বলেন, কয়লার মাধ্যমে আদানিরা আরও ১২ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে। আদানি গোষ্ঠীর মোট দুর্নীতির পরিমান আসলে ৩২ হাজার কোটি টাকা। যা সরাসরি মানুষের পকেট কেটে চুরি করা। রাহুলের মন্তব্য, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই বিরাট মাপের দুর্নীতি যেকোনও সরকার ফেলে দিতে পারে। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে আদানিদের এই বিরাট দুর্নীতির তদন্ত হবে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে আলাদা করে আদানিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা যায় কিনা, সেটাও ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানান কংগ্রেস সাংসদ।
আরও পড়ুন-তৃণমূল বিধায়কের গানের অ্যালবাম
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের তরফে দাবি করা হয়েছে, কয়লা আমদানির ক্ষেত্রেও বড়সড় কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে দেশবাসীকে বোকা বানিয়েছে আদানিদের সংস্থা। যার জেরে প্রায় গোটা দেশকে বিদ্যুতের মাশুল বেশি দিতে হচ্ছে। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী কাগজেকলমে আমদানিকৃত কয়লার খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল। ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লার জাহাজ ছাড়ার সময় তার যা মূল্য ছিল, ভারতে সেই জাহাজ পৌঁছনোর পরে সেই কয়লার দামই দ্বিগুণ বলে দেখানো হয়। সেই কাজে তাদের সাহায্য করেছিল তাইওয়ানের সংস্থা। বস্তুত, এই মুহূর্তে দেশের কয়লা আমদানির বাজার পুরোপুরি আদানিদেরই দখলে। তাই কয়লা আমদানির বেশি খরচ দেখাতে তাদের বিশেষ অসুবিধাও হয়নি। এভাবে ঘুরপথে ভুয়ো তথ্য পেশ করে দেশবাসীর পকেট কেটেছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিল্পগোষ্ঠী। ব্রিটিশ সংবাদপত্রের এই রিপোর্ট বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন্দ্রের মদতে কীভাবে লুঠপাট চালাচ্ছে আদানিরা।