চাল দিতে দেরি, চালকলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ

সরকারের কাছ থেকে ধান কিনে চাল দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট চালকলের বিরূদ্ধে এবার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Must read

প্রতিবেদন : সরকারের কাছ থেকে ধান কিনে চাল দিতে দেরি করলে সংশ্লিষ্ট চালকলের বিরূদ্ধে এবার শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্ধারিত সময়ের থেকে একমাস বেশি দেরি করলেই তাদের আগামী খরিফ মরশুমে বেশি অঙ্কের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিতে হবে বলে খাদ্য দফতর জানিয়েছে। সাধারণভাবে প্রতি ৫০০ টন ধানের জন্য রাইস মিলকে ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি সরকারের কাছে জমা রাখতে হয়। কিন্তু যেসব রাইস মিল ২০২২-২৩ খরিফ মরশুমের জন্য অক্টোবর মাসে সরকারের কাছে চাল জমা দিয়েছে তাদের সমপরিমাণ ধানের জন্য এবার ৩৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দিতে হবে।

আরও পড়ুন-তৃণমূল বিধায়কের গানের অ্যালবাম

যেসব রাইস মিল অক্টোবর মাসেও পুরো চাল জমা দেবে না, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। সরকারের কেনা ধানও তাদের দেওয়া হবে না। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, চালকলগুলির সরকারের কাছে চাল জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৫ সেপ্টেম্বর। তবে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহেও ২২টি রাইস মিলের কাছে খাদ্য দফতরের ১৩,৬৩৩ টন চাল বকেয়া ছিল। ২০২২-২৩ খরিফ মরশুম শেষ হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে। এই সময়ে প্রায় সাড়ে ৫৫ লক্ষ টন ধান সরকারি উদ্যোগে কেনা হয়। ওই পরিমাণ ধান থেকে সরকারের ৩৬ লক্ষ টনের কিছু বেশি চাল পাওয়ার কথা। রাইস মিলগুলি যাতে সরকারের কাছ থেকে ধান নিয়ে উৎপাদিত চাল সরকারকে ঠিক সময়ে ফেরত দেয়, তার জন্য কয়েক বছর আগে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির ব্যবস্থা চালু করা হয়।

আরও পড়ুন-পুজোয় খোলা থাকছে আউটডোর

আগে রাইস মিল মালিকদের কাছ থেকে পোস্ট ডেটেড চেক নেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু অনেক সময় দেখা যেত ওই চেক ‘বাউন্স’ করছে। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর সরকারের প্রাপ্য পুরো চাল পাওয়া যাচ্ছে বলে খাদ্য দফতরের দাবি। আগে চাল না-পাওয়ার জন্য বহু রাইস মিলের বিরুদ্ধে এফআইআর হত। মালিকদের গ্রেফতারও করত পুলিশ। আদালতে বছরের পর বছর ধরে মামলা চলত। তাতে বিপুল আর্থিক ক্ষতি হত রাজ্য সরকারের।

Latest article