প্রতিবেদন : সীমান্তে বিএসএফের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়েছে। এবার বিএসএফের গাফিলতিতে প্রাণ গেল চার শিশুর। সোমবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ার চেতনাগছে সীমান্ত এলাকায় হাইড্রেন খুঁড়ছিল বিএসএফ। অভিযোগ, এখানে হাইড্রেন করার কথায় নয়, মাটি খোঁড়ার কথা ছিল অন্যত্র। ওইসময় গ্রামের কয়েজন শিশু খেলছিল। তখনই মাটিতে ধস নেমে ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। চার শিশু চাপা পড়ে যায় মাটির নিচে। তারপরও বিএসএফের জওয়ানরা ওই শিশুদের দেখতে পায়নি বলে অভিযোগ। জেসিবি নিয়ে মাটি ফেলা চলতেই থাকে। এই ঘটনায় সীমান্তরক্ষীদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন-১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু মাধ্যমিক
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় মানুষজন নীরব বিক্ষোভে শামিল হবেন এই ঘটনার প্রতিবাদে। স্থানীয় বাসিন্দা সাগর আলি বলেন, সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ হাইড্রেন খুঁড়ছিল। মাটিটা অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ৬-৭টা বাচ্চা ওখানে খেলতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুদের নাম গোলাম মুস্তাফা (৫), ইউসুফ আলি (৬), মহম্মদ ইসলাম (৫), তালেব আলি (১২)। সোমবার কলকাতায় একটি সাংবাদিক বৈঠকেও এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। মর্মান্তিক এই ঘটনা প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উত্তর দিনাজপুরের ঘটনা মা হিসাবে আমাদের বুক কাঁপিয়ে দিয়েছে। চেতনাগাছ অঞ্চলে বিএএসএফ জওয়ানরা ড্রেন খোঁড়ার কাজ করছিল। দেখতে গিয়ে পড়ে যায় চার শিশু। সব থেকে আশ্চর্য— বিএসএফের কেউ দেখতে পেল না? আমরা চারটি শিশুকে হারালাম! আমরা অনুরোধ করছি মাননীয় রাজ্যপালকে। তিনি সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। তিনি সাংবিধানিক প্রধান তিনি যেখানে ইচ্ছে যেতে পারেন। কারণ এই রাজ্যটা বাংলা, আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কারও যাওয়া আটকান না। আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই এবং বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই, একবার উত্তর দিনাজপুরের এই জায়গাও আপনাকে দেখে আসতে হবে রাজ্যপাল। এই ঘটনার তদন্তের জন্যও রাজ্যপালের যাওয়া উচিত। এই দাবি নিয়েই আজ রাজভবন যাবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হবে। রাজ্যপালের কাছেও দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন থাকবে। এই ঘটনাকে দুঃখজনক আখ্যা দিয়ে এ-বিষয়ে তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন দাসপাড়া পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান দিলু রহমান।