ব্যুরো রিপোর্ট : কালবৈশাখী ঝড়ে (Strom) রাজ্যের বেশ কিছু জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। তছনছ গোটা বাঁকুড়া জেলা। নারকেল গাছ পড়ে সেখানে মৃত্যু হয়েছে একজনের। পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। নন্দীগ্রামেই বাজের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। লোহার তোরণ ভেঙে মারা গিয়েছেন একজন। বাঁকুড়ায় খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে একাধিক গ্রাম বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ঝড়ে উড়েছে বহু বাড়ির অ্যাসবেস্টস, টিন ও টালির ছাউনি। গাছ ভেঙেছে বহু এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক হাজার বাড়ি। সোনামুখীর পার্বতীয়া গ্রামে নারকেল গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে সুনীল বাউড়ি নামে এক গ্রামবাসীর। শহরের জুনবেদিয়া এলাকায় ঝড়ের (Strom) সময় শর্ট সার্কিট হয়ে একই পরিবারের দুই সদস্য জখম হয়েছেন। ইন্দাসের চেকপোস্টে নাইটডিউটিতে যাওয়ার পথে ইন্দাস থানার পুলিশের ভ্যান দুর্ঘটনায় পড়লে এক পুলিশ আধিকারিক–সহ পাঁচজন জখম হন। বড় বড় গাছ পড়ে বিভিন্ন রাস্তা আটকালেও প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুত যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। বিদ্যুৎকর্মীরা পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে প্রাণপণ খাটছেন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ৮০টির মতো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। সকাল থেকেই এলাকা ঘুরে ঘুরে মানুষের পাশে ছিল পুরসভা। ওন্দার কালী সেন এলাকায় এক হোটেলের বিশাল বড় কাঠামো–সহ অ্যাসবেস্টস ছাউনি প্রায় ৩০ ফুট উড়ে গিয়ে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে পড়ে। ফলে বেশ কিছুক্ষণ যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ নন্দীগ্রামে বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন মা ও ছেলে৷ পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতেরা হলেন ইন্ডিয়া দুয়ারি (৫০) ও মিলাল দুয়ারি (৩০)। একইভাবে এদিন সন্ধ্যায় খড়গপুরে বৃষ্টি চলাকালীন লোহার তোরণ ভেঙে পড়ে এক মোটরবাইক আরোহী প্রাণ হারিয়েছেন৷
আরও পড়ুন: শ্রেষ্ঠ শিরোপা পেলেন সাঁওতালি অভিনেত্রী