প্রতিবেদন : লালন শেখের রহস্যমৃত্যুতে নিজেদের দোষ এবং দায়িত্ব কার্যত স্বীকার করে নিল সিবিআই। এই ঘটনায় ২ অফিসার এবং ২ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করল তারা। সাসপেন্ড হওয়া ২ অফিসারের মধ্যে একজন ভাদু শেখ খুনের তদন্তকারী ইনস্পেক্টর রাহুল প্রিয়দর্শী। আর একজন বগটুইকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি বিলাস মাধুঘট।
আরও পড়ুন-ভাঙল বাড়ি
সাসপেন্ডের তালিকায় লালনের পাহারার দায়িত্বে থাকা ২ কনস্টেবলও। এই ঘটনায় একদিকে যেমন স্পষ্ট, লালনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নিজেদের দোষ এবং গাফিলতির কথা মেনে নিল সিবিআই, ঠিক তেমনই প্রশ্ন তুলে দিল, নেপথ্যে আরও বড় কিছু ঢাকা দেওয়ার জন্যই কি এই সাসপেনশনের নাটক? নাকি, এটা নিছকই আইওয়াশ? গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে উদ্ধার করা হয় বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। সিবিআই এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করলেও লালনের স্ত্রীর সরাসরি অভিযোগ, তাঁর স্বামীকে আসলে পিটিয়ে মারা হয়েছে। ৭ সিবিআই আধিকারিকের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় এফআইআরও করেন লালন-পত্নী।
আরও পড়ুন-গোটা গ্রামই যেন তাঁর পরিবার
৩ ডিসেম্বর লালনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালতের নির্দেশে লালনের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নেমেছে সিআইডি। ডিআইজি সোমা দাস মিত্রর নেতৃত্বে তদন্তকারী দল বগটুই গিয়ে কথা বলেন লালনের স্ত্রীর সঙ্গে। পৌঁছে যান সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পেও। সাসপেন্ড হওয়া ৪ জনের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।