গোটা গ্রামই যেন তাঁর পরিবার

৪নং বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মী অপূর্ব দত্ত বলেন, মানুষদের জন্য অনুপবাবু যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য।

Must read

দুলাল সিংহ, বালুরঘাট: মেধাবী ছেলেটার লেখাপড়ার টাকা নেই। বৃদ্ধা মায়ের চিকিৎসার জন্য যেতে হবে শহরে। অনুপবাবু বাড়ি এলেই সব সমস্যার সমাধান। গোটা গ্রামই যেন তাঁর পরিবার। এএসআই অনুপ দত্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরজেলার বালুরঘাটের বাদামাইল গ্রামের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশে কর্মরত। কলকাতার সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর ৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নে রয়েছেন। ছুটি পেলেই আসেন গ্রামে। তখন বাড়ি বাড়ি ঘুরে গ্রামবাসীদের সুবিধা অসুবিধার খোঁজ নেন।

আরও পড়ুন-হঠাৎ নবান্নে সৌরভ

পাশাপাশি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দিতে আবেদনের ফর্ম পূরণ করা থেকে শুরু করে, গ্রাম থেকে কলকাতায় চিকিৎসার প্রয়োজনে যাওয়া রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ছুটে যাওয়া, কলকাতার বড় কলেজে পড়াশুনার সুযোগ পাওয়া অভাবি মেধাবী ছাত্রদের পড়াশুনা চালিয়ে যেতে সাহায্য করা, গরিব মেয়েদের কন্যাদানের ব্যবস্থা করার মতো সামাজিক কাজগুলি অনুপ দত্ত নিজে দায়িত্ব নিয়ে সবই করেন পরিবারের ছেলের মতন। তাই ঘরের ছেলে ছুটিতে গ্রামে ফিরবেন কবে সেই অপেক্ষায় থাকেন গ্রামবাসীরাও। গ্রামের শিশুদের কাছে অনুপবাবু মানুষও। গোটা গ্রামই অপেক্ষা করে থাকেন কবে অনুপবাবু বাড়ি ফিরবেন। তাঁর ফেরার খবর মিলতেই হাসি ফোটে গ্রামবাসীদের মুখে। অসম্পূর্ণ বহু কাজ নিয়ে তাঁর কাছে হাজির হন গ্রামবাসীরা। হাসিমুখে সেই কাজ করে দেন অনুপবাবু। আট থেকে আশি সকল গ্রামবাসীরই বন্ধু তিনি। কারও কাছে কাকু, কারও আবার দাদা। কোনও বৃদ্ধা মায়ের গর্বকরা সন্তানসম।

আরও পড়ুন-প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি

৪নং বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মী অপূর্ব দত্ত বলেন, মানুষদের জন্য অনুপবাবু যেভাবে কাজ করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। অনুপবাবু বলেন, আমার বাবা, মা এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার অনুপ্রেরণা।

Latest article