সুমন তালুকদার, বারাসত : উত্তর ২৪ পরগনার ২২ ব্লকের ২১টিই আর্সেনিকপ্রবণ। ফলে ভূগর্ভস্থ জল পানীয় হিসেবে ব্যবহার না করে ভূপৃষ্ঠের অর্থাৎ সারফেস ওয়াটার বা নদীর জলকে পানীয় জল হিসেবে ব্যবহারের নিদান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ দফতর জেলার চার প্রান্তে গড়ে তুলছে চারটি বড় জলপ্রকল্প। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে এই ৪ প্রকল্পে।
আরও পড়ুন-জ্বালানি : খোঁচা অখিলেশের
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলার মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের লক্ষ্যে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। ইতিমধ্যে দুটির কাজ প্রায় শেষের মুখে, বাকি দুটির কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। গঙ্গার জলকে পরিস্রুতের পর পানীয় জলে পরিণত করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ হবে এই ৪ প্রকল্পে। একটি প্রকল্পে কলকাতা থেকে সরবরাহ করা পানীয় জল পৌঁছবে রাজারহাট, ভাঙড়, হাড়োয়ার বিস্তীর্ণ অংশে। দ্বিতীয়টি প্রকল্পটিতে নৈহাটি থেকে হাবড়া, গাইঘাটা, দেগঙ্গা, আমডাঙা এলাকায় জল সরবরাহ হবে। তৃতীয়টি প্রকল্পটি হচ্ছে চাকদায়। বাগদা, বনগাঁয় জল সরবরাহের জন্য। চতুর্থ প্রকল্পে শ্যামনগর থেকে স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া, বসিরহাট, হাসনাবাদ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহ হবে।
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মিথ্যাচার
জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ জ্যোতি চক্রবর্তী জানান, আর্সেনিক এই জেলার বড় সমস্যা। সাধারণ মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত রাখতে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টির উপর বিশেষ নজর দিতে বলেন। এর আগেও এই ধরনের কিছু প্রকল্প হয়েছে। চাহিদা বাড়ায় প্রকল্প-পিছু প্রায় হাজার কোটি টাকা খরচ করে নতুন চারটে প্রকল্প হচ্ছে। আর্সেনিকযুক্ত জলে ফসলের চাষ হওয়ায় ফসলেও ঢুকে যাচ্ছে আর্সেনিক। যেটা ঘুরেফিরে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। তাই চাষের ক্ষেত্রেও ভূপৃষ্ঠের জল বা সেচের জলকেই ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে তা বাস্তবায়িত করা যায় ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে সরকার।