প্রতিবেদন: চরম আর্থিক সংকট। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে কৃষকরা বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। খোদ বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্রে মাত্র ৩ দিনে ৫ কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দেশবাসীর মুখে অন্ন তুলে দেন যাঁরা, তাঁদের অবস্থা কী, সেই চিত্র উঠে আসছে এই ঘটনায়। ডবল ইঞ্জিনের রাজ্য মহারাষ্ট্রে কৃষকদের দুর্গতির নমুনা দেখাচ্ছে মহারাষ্ট্রের কৃষকমৃত্যু।
আরও পড়ুন-মোদিকে মণিপুর খোঁচা অখিলেশের
১৫ অগাস্ট লালকেল্লার ভাষণে দেশের কৃষকদের উন্নতির ফিরিস্তি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিনও কৃষক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল মহারাষ্ট্রে। একের পর এক কৃষক আত্মহত্যার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সরকারের ভুমিকা নিয়ে। বিজেপি সরকারের দাবি আর বাস্তবতার যে কোনও মিল নেই তা উঠে আসছে মাত্র তিনদিনে পাঁচ কৃষকের মৃত্যুর ভয়ঙ্কর ঘটনায়।
আরও পড়ুন-বাবরি ধ্বংসের হোতার জীবনী, যোগীরাজ্যে স্কুলপাঠ্য
মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ অগাস্ট দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। তাঁদের নাম নামদেও ওয়াঘমারে এবং রামরাও রাঠোর। দুজনেই আর্থিক অনটনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা করেন বলে দাবি। ১৪ অগাস্ট উদ্ধার করা হয় কার্নু কিনাকে এবং শালু পওয়ার নামে আরও দুই কৃষকের দেহ। তাঁদের আর্থিক পরিস্থিতিও খুবই খারাপ ছিল। দেশের স্বাধীনতা দিবসে যখন মোদি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছিলেন তখন উদ্ধার হয় মনোজ রাঠোর নামে আরও এক কৃষকের দেহ। তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন এই ঘটনা চাপতে চাইলেও মহারাষ্ট্রে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে একের পর এক কৃষকমৃত্যুর তথ্য সামনে আনেন সমাজকর্মী কিশোর তিওয়ারি। তারপরই শোরগোল শুরু হয়।
আরও পড়ুন-মাঝ-আকাশে ফের অসভ্যতা যাত্রীর, বিমানসেবিকার অন্তর্বাসের ছবি তুলে ভিডিও!
কৃষকমৃত্যুর তথ্য দিয়ে শিণ্ডেসেনা-বিজেপি সরকারের মহারাষ্ট্রে চলতি বছরে কৃষকদের ভয়াবহ দুর্দশার ছবি তুলে ধরেন সমাজকর্মী কিশোর তিওয়ারি। সর্বশেষ তথ্যের পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, শুধুমাত্র চলতি বছরে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে ১৫৬৫ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। গোটা রাজ্যে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। রাজ্য সরকার কৃষকদের সমস্যাগুলির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই পরিস্থিতি আজ এই পর্যায়ে। আর এই তথ্যই কেন্দ্র ও রাজ্যের সারবত্তাহীন দাবি বেআব্রু করে দিচ্ছে।