প্রতিবেদন: ফের বিদ্রোহ বঙ্গ বিজেপিতে। বিজেপিতে মতুয়াদের কোনও গুরুত্ব নেই। অভিযোগ তুলে শনিবার দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। এরা হলেন, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রাণাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।
আরও পড়ুন-মরশুমি সাজ মাইথনের
এই পাঁচজন ছাড়াও বিধানসভা নির্বাচনে দলের দুই প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। একই সঙ্গে এদিন বনগাঁয় বিজেপি অফিস ভাঙচুর করা হয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্য বিজেপিতে কার্যত মুষলপর্ব চলছে। তার ওপর সদ্য কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী হয়েছে দল। এই আবহে ফের নতুন করে বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন-ধরাশায়ী রাম-বাম-কং জোট
তারপর শনিবারই জেলা কমিটিগুলির ঘোষণা করেছে রাজ্য বিজেপি। আর এরপরই জেলায় জেলায় ফের তুমুল বিক্ষোভ, বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে বিজেপিতে। নতুন কমিটিতে ৩০ জন জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই জেলাগুলিতে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। দলের নীচুতলায় শুরু হয়েছে তুমুল বিশৃঙ্খলা। রাজনৈতিকমহলের অভিমত, দলের মধ্যে যেভাবে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে তাতে আগামীদিনে এ রাজ্য দলের অস্তিত্ত্ব প্রশ্নের মুখে।
সুত্রের খবর, পুরভোটে চূড়ান্ত ব্যর্থতার জেরে এই রদবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এর সঙ্গে অধিকাংশ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পদেও বদল করা হয়েছে। একসঙ্গে এতজন সভাপতি বদলের জেরেই দলের অন্দরের ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সামনেই বাকি পুরসভাগুলির ভোট। এই অবস্থায় কমিটি বদল করে অক্সিজেন পেতে চাইছে নেতৃত্ব। কিন্তু বাস্তব অবস্থা ঠিক উল্টো। কমিটি বদলের জেরে এখন যা পরিস্থিতি তাতে নতুন করে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে রাজ্য নেতৃত্ব।