নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : জিএসটি (GST) ক্ষতিপূরণ আরও ৫ বছর দেওয়ার দাবি জানাল একাধিক রাজ্য। তবে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি মুখে ‘না’ বললেও মোটামুটিভাবে তারাও ক্ষতিপূরণের পক্ষেই সওয়াল করেছে বলে খবর। চণ্ডীগড়ে জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠকের শেষদিনে বুধবার বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জানান, যেহেতু রাজ্যগুলি এখনও পর্যন্ত করোনা এবং লকডাউনের ধাক্কা সামলাতে পারেনি, সেই জন্য আরও ৫ বছর জিএসটি (GST) ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। উল্লেখ্য, জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর চালু করার ফলে রাজ্যগুলির রাজস্বে যে ক্ষতি হয়েছে, তারজন্যই কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষতিপূরণ দেয়। ৩০ জুন শেষ হচ্ছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মেয়াদ। মেয়াদ শেষের পর কেন্দ্র কী করবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি নির্মলা। তবে এই বৈঠকে ফের একবার সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ব্যবস্থা করছে মোদি সরকার। কারণ মন্ত্রিগোষ্ঠীর সুপারিশ মেনে এবার প্যাকেটজাত খাবার, মাছ, দই, লস্যি, পনির, মধু, আটা, প্যাকেটজাত মুড়ির ওপরে ৫ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে । তবে যে সমস্ত প্যাকেটজাত সামগ্রী ব্র্যান্ডেড নয় সেগুলিকে জিএসটির আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। মুড়ির মতো অতি সাধারণ মানুষের খাদ্যের উপর জিএসটি আরোপ হওয়ায় বিস্মিত আমজনতা। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে জিএসটি কাউন্সিলের পরবর্তী বৈঠক হবে। রাজ্যের তরফে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিনের বৈঠকে জিএসটি কাউন্সিল নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা উল্লেখ করেন। মে মাসে এক মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়েছে, জিএসটি কাউন্সিল শুধুমাত্র সুপারিশ করে। রাজ্যগুলি এবিষয়ে পৃথক আইন তৈরি করতে পারে। এবারের বৈঠকে ব্যাঙ্কের চেকবইয়ের উপরেও ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। ১২ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে ম্যাপ এবং চার্টের ক্ষেত্রে। যে সমস্ত হোটেলের ঘরভাড়া দৈনিক ১ হাজার নিচে, এবার সেগুলিতেও ১২ শতাংশ জিএসটি বসছে। ভোজ্য তেল, কয়লা, এলইডি বাতি, ছাপা ও আঁকার কালি, জল গরমের সৌর হিটারে জিএসটি হার ১২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করার সুপারিশ করেছে কাউন্সিল।
আরও পড়ুন: আপের ব্যানারে হলদিয়ায় হট্টগোল