প্রতিবেদন : গ্রামবাংলার মানুষের জীবনযাত্রার সার্বিক উন্নয়নের (Village Development) লক্ষ্যে কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে এবার বিপুল অর্থ বরাদ্দ করা হল। এই খাতে সম্প্রতি ৫৩৮ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। আরআইডিএফ বা গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ২২টি দফতরকে এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ইতিমধ্যেই সেচ দফতরকে ৩.৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। চলতি আর্থিক বছরেই রাজ্যের সেচ দফতরকে আরও ৫৮ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। জলসম্পদ দফতর পেতে চলেছে ৬৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর পাচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। বিদ্যুৎ দফতর পাবে ৩৮ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দফতর পেতে চলেছে ২৫ কোটি টাকা করে। এছাড়াও খাদ্য দফতর ১৫ কোটি টাকা পাবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের পূর্ত দফতর সর্বাধিক ১৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পাচ্ছে। এছাড়াও সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন, সুন্দরবন উন্নয়ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, সমবায়, নারী শিশু ও সমাজকল্যাণ, কৃষি, কৃষি বিপণন, রাস্তা, প্রাণিসম্পদ, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য উন্নয়ন, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। বর্ষার আগে গ্রামবাংলায় যাতে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ দ্রুত শুরু করা যায়, তার জন্যই এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। রাস্তা, সেতু ও বাঁধ তৈরি এবং সংস্কারের কাজে সব থেকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই সেচ ও পূর্ত দফতর সবথেকে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরে রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়নের (Village Development): এই বিপুল উদ্যোগ। আরআইডিএফ-এর অধীনে কাজের জন্য টাকার বেশিরভাগটাই আসে নাবার্ডের ঋণ থেকে। রাজ্য সরকারকেও সেখানে অর্থ বরাদ্দ করতে হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে আরআইডিএফ প্রকল্পটি দেশে চালু হয়। নাবার্ডের অনুমোদন নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ করতে পারে সরকারি দফতর।
আরও পড়ুন: দলের সঙ্গে নির্লজ্জ গদ্দারি, সাংসদ অফিসে বৈঠক বিজেপির, শিশির-দিলীপ লাঞ্চ পলিটিক্স