সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা যাতে নিজেদের সমাজ থেকে আলাদা না ভাবেন সেজন্য এগিয়ে এলেন ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষিকা। নিজেরা উদ্যোগী হয়ে কেরলের ত্রিশূর জেলার আমালা ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়ান্সে চুলদান করলেন। তাঁদের দেখে প্রতিষ্ঠানের আরও কয়েকজন শিক্ষিকা চুলদানে রাজি। সামশেরগঞ্জের ধুলিয়ান বালিকা বিদ্যালয়ের জীববিদ্যার শিক্ষিকা প্রীতি ঘোষ বছর তিনেক আগে প্রথমবার কেরলের ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা ক্যান্সার রোগীদের জন্য চুল দেন।
আরও পড়ুন-ইন্দোনেশিয়ার ভূমিকম্পে নিহত ২৮১, মা-ঠাকুমার মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার ৫ বছরের শিশু
ক্যান্সারাক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশন নেওয়ার ফলে মাথার চুল একসময় ঝরে যায়। ফলে অনেকেই হতাশায় ভোগেন। বিভিন্ন সংস্থা উদ্যোগ নিয়েছে তাঁদের মাথার চুল ফিরিয়ে দিতে। এমনই এক উদ্যোগে শামিল এই ৬ শিক্ষিকা। প্রীতি ঘোষকে চুল দিতে দেখে শিক্ষিকা অর্পিতা রায়, মেহবুবা হোসেন, অর্পিতা মণ্ডল, সুমনা পাল এবং স্কুলের টিচার ইনচার্জ জয়শ্রী দত্ত সম্প্রতি নিজেদের চুলদান করেন। জয়শ্রী দত্ত বলেন, ‘ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাঁড়াতে মাথার ১৬ ইঞ্চি চুল দান করেছি। পার্লারে গিয়ে চুল কাটার পর সেই চুল স্পিড পোস্টে কেরলের হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। একইভাবে আমার ৬ সহকর্মীও নিজেদের ১২-১৪ ইঞ্চি চুল ওই হাসপাতালে দান করেন। দু-তিনদিন আগে হাসপাতাল প্রাপ্তিস্বীকার জানিয়ে মেসেজ করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগামী দিন স্বীকৃতি জানিয়ে সার্টিফিকেট পাঠাবেন। অন্য শিক্ষিকাদেরও মহৎ কাজে শরিক হতে দেখে আমার মা চন্দনা দত্ত এবং স্কুলের আরও কয়েকজন শিক্ষিকা চুল বড় করছেন। কয়েক মাসের মধ্যে আরও কয়েকজন শিক্ষিকা ক্যান্সারাক্রান্ত রোগীদের জন্য চুলদান করবেন।’