ফের প্রতারণার অভিযোগ। কল্যাণী এইমসে (Kalyani AIIMS) চাকরি দেওয়ার নামে ৭২ লক্ষ টাকার প্রতারণা। ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে হরিপাল থানার পুলিশ। এর সঙ্গে যুক্ত আরও একাধিক প্রতারকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার হরিপাল থানায় সাংবাদিক বৈঠক করেন হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায়। পুলিশ সুপার জানান বেশ কিছুদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ জমা পড়ে হরিপাল থানায়। এরপরেই পুলিশের তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত প্রথমে বাপ্পা রাউৎ নামে এক ব্যক্তিকে নদিয়ার কল্যানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। মার্চের ১৯ তারিখ বাপ্পা রাউৎকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। বাপ্পাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দীপক দাস নামে আরও এক ব্যক্তিকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও ২ প্রতারকের খোঁজ পায় পুলিশ। এরপর এম ডি বাসার ও সুপ্রিয় বিশ্বাস নামে দু’জনকে তমলুক ও রানাঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে আছে বাপ্পা এবং বাকি ৩ জনকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্তদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছে নিয়োগপত্র সম্পর্কিত বেশ কিছু জাল নথি, ভুয়ো নিয়োগপত্র, দুটি মোবাইল-সহ একটি চার চাকার গাড়ি। অভিযুক্তরা নিজেদের কল্যাণী এইমসের (Kalyani AIIMS) কর্মচারী এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আছে বলে পরিচয় দিয়ে গোটা রাজ্যেই জাল বিছিয়ে ছিল বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন-গোত্র ‘মা-মাটি-মানুষ’: মদনমোহন মন্দিরে পুজো অভিষেকের, শুরু রাজনৈতিক কর্মসূচি
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায় আরও জানান, শুধু হুগলিতে নয় পুরো রাজ্যেই এই প্রতারণার জাল ছড়িয়ে রয়েছে। প্রতারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযোগকারী হরিপালের বাসিন্দা শিবনাথ দের দাবি, ২০২১ সালে দীপক দাসের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং নিজেকে রাজ্য সরকারের বড় অফিসার বলে পরিচয় দেয়। এরপরই শিবনাথ দে চাকরির টোপ দেয় দীপক দাস। শিবনাথ তার নিজের পরিবারের সদস্যদের কল্যাণী এইমসে চাকরি করে দেওয়ার জন্য ধাপে ধাপে ৭২ লক্ষ টাকা দেয় দীপক দাস সহ কয়েক জনকে।
এরপর তাদের ভুয়ো নিয়োগ পত্র দেওয়া হয় ধাপে ধাপে পরীক্ষা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ৪ মাস পরই শিবনাথ জানতে পারেন তার আত্মীয়রা প্রতারণার শিকার। গত বছর ডিসেম্বর মাসে হরিপাল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিবনাথ। এর পরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে এর আগেও একাধিক দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল দীপক দাসকে।