প্রতিবেদন : চোখে-মুখে এখনও আতঙ্ক । জলের স্রোত, পাথরের শব্দ তাঁদের কানে বাজছে। ঘুমের মধ্যেই চমকে উঠছেন। এমনই ৭৮ জন কলকাতার বানতলার বাসিন্দা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তাঁরা বিপদ কাটিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেল সওয়া চারটে নাগাদ জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে ফেরেন তাঁরা। মোট ১০০ জন এস ৭- এস ৮ কামরা থেকে নামেন। তাঁদের মধ্যে কলকাতার ৭৮ জন। এঁদের মধ্যে এক পুণ্যার্থী ১৫ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বেঁচে ফিরেছি বিশ্বাস হচ্ছে না। ভোলেবাবা রক্ষা করেছেন।’’
আরও পড়ুন-বিরাট ও বুমরাকে ছাড়াই টি-২০ দল ঘোষণা বোর্ডের, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর
ঘোরার আনন্দের লেশ মাত্র নেই তাঁদের। শুকনো মুখ, নেই কথা বলার অবস্থাও। ২ জুলাই কলকাতার বানতলার ৭৮ জন পুণ্যার্থী অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দেন। এরপরই গত শুক্রবার বিকেলে নেমে আসে বিপর্যয়। শুরু হয় মেঘভাঙা বৃষ্টি। এই দলটির মাত্র ২১ জন সদস্য অমরনাথ দর্শন করেন। বাকিরা সেইসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে পঞ্চতরণিতে ছিলেন।
হাওড়া স্টেশনে নেমে কথা বলতে গিয়েও গলা শুকিয়ে আসছিল দলটির এক সদস্যের। অনেকের হাতেই ছিল লাঠি। খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। অনেকের আবার হাতে-মাথায় রয়েছে চোট। তবে এত বিপর্যয় কাটিয়ে প্রাণ হাতে করে ফিরেও আশা ছাড়েননি অনেকেই। ভোলেবাবার নামে স্লোগান দিয়ে বললেন, ‘‘বেঁচে থাকলে আবার যাব।’’