প্রতিবেদন: কিছুদিন ধরেই শহরের বুকে সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর হয়েছে পুলিশ। কলকাতার নগরপালের দায়িত্ব নিয়েই বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, সাইবার ক্রাইম রুখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রবিবার সকালে শহরের একটি বড়সড় সাইবার প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। অভিযোগ মধ্য কলকাতার শেক্সপিয়ার সরণির একটি অফিস থেকে এই চক্র চালানো হচ্ছিল। এদিন সকালে সেই অফিসে হানা দিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই অফিসে একটি ভুয়ো কলসেন্টার (Fake Call Centre) চালানো হচ্ছিল বলেই অভিযোগ। মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানোর নাম করে আর্থিক প্রতারণা করা হত। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এদিন ওই কলসেন্টারে (Fake Call Centre) হানা দেয়। মোবাইল কোম্পানির প্রতিনিধি পরিচয়ে সবাইকে ফোন করে টাওয়ার বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হত। টাওয়ার বসানোর বিনিময়ে নগদ ১০ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার টোপ দিত প্রতারকরা। গ্রাহকরা রাজি হলেই শুরু হত আসল খেলা। টাওয়ার বসানোর জন্য সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে কিছু টাকা জমা দিতে হবে। এভাবে অনেকেই টাকা জমা দেন। টাকা দেওয়ার পরই ফোন অফ করে দিত প্রতারকরা। কোনও যোগাযোগ করত না। অভিযোগ, এভাবেই কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওই চক্র। শেক্সপিয়র সরণির একটি বহুতলের তিনতলায় রীতিমতো অফিস খুলে চলছিল এই প্রতারণা চক্র। এদিন সেখানে হানা দিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অফিস থেকে ২টি ল্যাপটপ, ৯টি মোবাইল ফোন, ২ ল্যান্ড ফোন এবং কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার মধ্য কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট, বউবাজার-সহ একাধিক এলাকার কয়েকটি ভুয়ো কলসেন্টারে হানা দিয়ে মোট ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিআইডি। সেই সঙ্গে অফিসগুলি থেকে প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ল্যাপটপ উদ্ধার হয়। মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করেন সিআইডির গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: প্রয়াণেও ওয়ার্নের পাশেই সিমো