সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : মহাকাশের আবর্জনা সরানোর ব্যাপারে বাঁকুড়ার দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের প্রোজেক্ট নজর কাড়ল তাবড় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীর। সেই সূত্রে তার কাছে এল আমেরিকার আলাবামায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ বিজ্ঞান সম্মেলনের নিমন্ত্রণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে রকেট, মহাকাশ স্টেশন ও অসংখ্য কৃত্রিম উপগ্রহ। মেয়াদ শেষে কার্যক্ষমতা হারিয়ে সেগুলির যন্ত্রাংশ অনন্তকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশের আনাচে-কানাচে। জঞ্জালে ভরছে মহাকাশ।
আরও পড়ুন-রামপুরহাটে অমানবিক রেলের ফের উচ্ছেদ নোটিশের প্রতিবাদ, আজ বাজার বন্ধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা
এবার সেই সব জঞ্জাল পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে পুনরায় তা ব্যবহারযোগ্য করে তোলার উপরে বাঁকুড়ার ডিএভি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া অয়ন দেওঘরিয়ার গবেষণা নজর কাড়ল আন্তর্জাতিক স্তরের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের। তার সেই প্রোজেক্ট বিশ্বের নামী মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সামনে তুলে ধরতে তার ডাক পড়েছে আমেরিকার আলাবামায়। ছোট থেকেই মহকাশ গবেষণায় আগ্রহ ছিল। বিখ্যাত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিন্সের জীবনী পড়ে পড়াশোনার পাশাপাশি মহাকাশ গবেষণায় আরও বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে অয়ন। তাকে ভাবিয়ে তোলে মহাকাশে প্রতি মুহূর্তে জমতে থাকা টন টন আবর্জনার বিষয়টি। এর ফলে একদিন পৃথিবী থেকে রকেট, স্পেস স্টেশন বা কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোই কঠিন হয়ে উঠবে। এরপরই যান্ত্রিক আবর্জনাগুলিকে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে এনে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার বিষয়ে গবেষণা শুরু করে অয়ন।
আরও পড়ুন-বিগ বস ওটিটি সিজন ৩
গত বছরই অয়নের এই প্রোজেক্ট স্বীকৃতি পায় দেরাদুনের ইউনিভার্সিটি অফ পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এনার্জি আয়োজিত ন্যাশানাল স্পেস কনভেনশনে। সেই প্রোজেক্টেরই আরও উন্নত ভার্সান সে পেশ করে এ বছর গোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ন্যাশানাল স্পেস সায়েন্স সম্মেলনে। সেখান থেকেও স্বীকৃতি পাওয়ার পর ১১-১৫ নভেম্বর আমেরিকার আলাবামায় অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস প্রোগ্রামে ডাক পায় অয়ন। ডাক পেয়ে খুশি অয়ন জানায়, প্রোজেক্টটি বিজ্ঞানীদের পছন্দ হলে তা পাঠানো হবে নাসার ইউনাইটেড স্পেস অ্যান্ড রকেট সেন্টারে।