সংবাদদাতা, বোলপুর : করোনা বিধি মেনে শুরু হচ্ছে কলকাতা বইমেলা। গ্রামীণ মেলা শুরু হতে চলেছে একাধিক জেলায়। কিন্তু সামান্য সময় বাকি থাকলেও এখনও পৌষমেলা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। এর জেরে বেজায় অখুশি বোলপুর ব্যবসায়ী সংঘ। পৌষমেলা অবিলম্বে শুরু করার দাবিতে কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তারা। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে আমিনুল হুদা জানিয়েছেন, পৌষমেলা শুরু করার জন্য পৌষমেলা কমিটির কাছে আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি ২০১৯ সালে পৌষমেলায় অংশ নিতে গেলে যে সিকিউরিটি টাকা জমা দিতে হয় যা পরে ফেরত পাওয়া যায় সেই টাকা এখনও আমরা ফেরত পাইনি। টাকা ফেরতের দাবি আমরা জানিয়েছি। বিশ্বভারতীর কর্মসচিবকে ইমেল মারফত মেলা চালু করার আবেদন করা হয়েছে। পৌষমেলা না হওয়ার ফলে স্থানীয় গ্রামীণ ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে হয়েছে। অবিলম্বে পৌষমেলা শুরু না করলে বহু ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবেন। পৌষমেলা কমিটি তিনদিনের মধ্যে কোনও সদুত্তর না দিলে ব্যবসায়ীরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতন এলাকার প্রান্তিক গ্রামীণ ক্ষুদ্র কুটির শিল্পীদের শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এই পৌষমেলার সৃষ্টি করেছিলেন, আমরা সেই সৃষ্টিকে কোনও ভাবেই হারিয়ে যেতে দেব না।
আরও পড়ুন : ইভিএমের পরীক্ষা হল শুরু
ব্যবসায়ীরা একযোগে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন, উপাচার্য চান পৌষমেলা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু আমরা সেটা কোনওভাবে হতে দেব না। রাজ্যের বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানিয়েছেন, উপাচার্যের উচিত গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঐতিহ্যপূর্ণ পৌষমেলাকে সসম্মানে পুনরায় শুরু করা। কারণ এই পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো বলিষ্ঠ হয়। আসলে উপাচার্য জানেন না গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন ভাবনায় বিশ্বভারতী, পৌষমেলা সৃষ্টি করেছিলেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বাংলার সৃষ্টি ও কৃষ্টিকে ভুলিয়ে দিতে চায়। আমরা ব্যবসায়ীদের পাশে আছি, যদি বিশ্বভারতী পৌষমেলা করতে ব্যর্থ হয় তবে রাজ্য সরকার বিকল্প মেলার আয়োজন করবে।