প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা বসিরহাট, টাকি, হাসনাবাদ এলাকার রাস্তাঘাট ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। বারাসত থেকে হাসনাবাদ পর্যন্ত দীর্ঘ টাকি রোড সংস্কারের কাজ অবিলম্বে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সড়ক প্রকল্পে বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের পূর্ত দফতরকে হুঁশিয়ারি দেন। এরপরের টাকি রোডের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি থেকে কলকাতা ও হাওড়ার বাস যোগাযোগ অবিলম্বে শুরু করারও তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। করোনার কারণে বন্ধ থাকা বিভিন্ন সরকারি বাসে রুট পুনরায় চালু করতে মুখ্যমন্ত্রী এদিন পরিবহণ সচিব রাজেশ সিনহাকে নির্দেশ দিয়েছেন। বসিরহাট থেকে হাওড়া এবং ধর্মতলা পর্যন্ত বাস রুট চালু করতে বলেন তিনি। একইসঙ্গে মিনাখা, সন্দেশখালি স্বরূপনগর থেকে কলকাতা পর্যন্ত বাস রুট চালু করার দাবিও মুখ্যমন্ত্রী খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
সুন্দরবনকে পৃথক জেলা হিসেবে গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার। সে কারণে এই এলাকার যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর ফলে একদিকে যেমন সীমান্ত বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে প্রান্তিক এলাকায় উন্নয়নের গতি আরও মসৃণ হবে বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত। এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই উন্নয়নের সুর বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : সুন্দরবন নতুন জেলা
কাউন্সিলরদের কাজের খতিয়ান নেবেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুরসভার কাজকর্মে আরও গতি আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক বারাকপুর, কামারহাটি, দমদম, বিধাননগর-সহ উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রধানদের নাম ধরে ধরে তাঁদের এলাকার কাজের খতিয়ান নেন। তিনি বলেন, ‘পুরসভা নিয়ে কিছু অসুবিধা হচ্ছে। আপনারা এলাকা ঘুরে দেখছেন না। এলাকার কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ফোন খোলা রাখতে হবে। অনেকেই ফোন ধরেন না। যা যা চাই সব করে দেওয়া হয়েছে। এখন মানুষকে দিন।’ এদিন টিটাগড় পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দাঁড় করিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেক অভিযোগ রয়েছে। আগে রাস্তাঘাট, জল ও লাইট করুন।’ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে নিজের এলাকার সমস্যার কথা তুলে ধরেন বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। পরে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন প্রত্যেক পুরসভায় একজন করে অবজারভার নিয়োগ করতে হবে। পর্যবেক্ষকরা পুর এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজের খতিয়ান সংগ্রহ করবেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। নজর রাখবেন কোন কাউন্সিলর কেমন কাজ করছেন। সেই রিপোর্ট যাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, তাঁরা পুরস্কার পাবেন। পরিবেশ দূষণ রুখতে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্যও তিনি নির্দেশ দেন।