সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর : একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পূর্ব মেদিনীপুর। দুর্গতদের পাশে রাজ্য। মহিষাদলে বিপর্যস্ত রূপনারায়ণের বাঁধ পরিদর্শনে যান সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া (Manas Bhunia)। ভাঙন পরিদর্শনে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি, জেলা পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য, স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এবং সেচদফতরের আধিকারিকরা। গত অমাবস্যার সময় নদীবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছিল প্রায় ১০০ মিটার অংশে। মন্ত্রী বলেন, জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় আপাতত ভাঙন প্রতিরোধ করা গিয়েছে। এখন বর্ষা চলছে। এরপর সেচদফতর এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে সমীক্ষা করে ভাঙন রোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি পাঁশকুড়ার দক্ষিণ গোপালপুরে কংসাবতীর মিটার গেজ পরিদর্শনে যান। কারণ এখন কংসাবতী নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কংসাবতী ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে পাঁশকুড়া পুরসভার একাংশ ও গ্রামীণ এলাকার জলযন্ত্রণা আরও বেড়েছে। ফলে তমলুকের মহকুমা শাসক দিব্যেন্দু মজুমদার ও পাঁশকুড়ার বিডিও অমিতকুমার মণ্ডল জলমগ্ন বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। পাঁশকুড়া রেল স্টেশন এলাকা ইতিমধ্যেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দোকানে জল ঢুকে গেছে। আবার পাঁশকুড়া গ্রামীণ এলাকার ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের একদিকে কংসাবতী নদী আর একদিকে খিরাই নদী। দুটি নদীই কানায় কানায় পরিপূর্ণ। ফলে এই এলাকা এবং নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের আতঙ্ক অনেক বেড়েছে। পাঁশকুড়ার রঘুনাথবাড়ি, খণ্ডখোলা, পুরুষোত্তমপুর, রাধাবল্লভচক, হাউর প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষের জমি, গ্রামীণ রাস্তা এখন জলমগ্ন। আবার কংসাবতীর জল বিপদসীমার উপরে থাকার জন্য প্রজাবাড়ে ময়না-পাঁশকুড়া সংযোগকারী বাসের সাঁকো ভেসে গিয়েছে। এই সমস্ত এলাকা থেকে দ্রুত জল নামানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন- বাজারদর নিয়ন্ত্রণে জোরদার অভিযানে নামছে টাস্ক ফোর্স