বড় ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল দুই শিবিরে

Must read

প্রতিবেদন : শনিবার ভারতীয় ফুটবলে সব থেকে আকর্ষণীয় দ্বৈরথ। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে কলকাতা ডার্বি। বড় ম্যাচের আবহে ঢুকে পড়েছে দুই প্রধান। এটিকে মোহনবাগান প্রথম ম্যাচে দাপটে জিতলেও এসসি ইস্টবেঙ্গল রবিবার লিগে তাদের প্রথম ম্যাচ ড্র করেছে। এগিয়ে গিয়েও রক্ষণের ভুলে জয় হাতছাড়া করেছে। তবু শনিবার ডার্বির আগে এক পয়েন্ট প্রাপ্তিতে খুশি লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ।
জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের পর দিয়াজ বলেছেন, “প্রথমার্ধে বল ছাড়া ভাল খেলেছি। কিন্তু বলের দখল নিয়ে সেভাবে খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরাই ভাল খেলেছি। তবে এক পয়েন্ট পেয়ে আমি খুশি। আমরা অনেক দেরিতে প্রি-সিজন শুরু করেছি। খেলোয়াড়দের ফিটনেসে ঘাটতি আছে। আরও অনুশীলন করে উন্নতি করতে হবে। তাই শুরুতে এক পয়েন্ট মন্দ নয়।”এরপর অরিন্দমদের কোচ বলেন, “ডার্বি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিচ্ছি। এটিকে মোহনবাগান খুব ভাল দল। ওদের অভিজ্ঞতা বেশি। ইস্টবেঙ্গল উন্নতির পর্যায়ে আছে। ডার্বিতে আমাদের খেলার মান বাড়াতে হবে।”


প্রথম ম্যাচে দলের মাঝমাঠ সচল ছিল না। রক্ষণেও ত্রুটি। আক্রমণভাগে আন্তোনিও পেরোসেভিচ নজর কাড়লেও নিষ্প্রভ ছিলেন চিমা। আরেক বিদেশি তারকা আমির দেরভিসেভিচকে মন্থর লেগেছে। ডার্বির আগে আগামী কয়েক দিনে কীভাবে দলের বাঁধন শক্ত করেন লাল-হলুদ কোচ, সেটাই এখন দেখার। ম্যাচের সেরা পেরোসেভিচও ডার্বির আগে নিজেদের খেলায় আরও উন্নতি চান। লাল-হলুদের ক্রোয়েশিয়ান স্ট্রাইকার বলছেন, ‘‘আমরা দ্রুত উন্নতি করছি। তবে আরও উন্নতি করতে হবে। এখনও একশো শতাংশ তৈরি নই। তবে লিগ যত এগোবে, ততই আমরা তৈরি হয়ে যাব। আশা করি, ডার্বিতে আরও ভাল ফুটবল উপহার দেব।

আরও পড়ুন : রাজ্য চায় পুরভোট ধাপে ধাপে

এদিকে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় অতীত। সবুজ-মেরুন শিবির বরং আসন্ন বড় ম্যাচের দিকেই ফোকাস করছে। কেরল ম্যাচের পর শনিবার গোটা দলকে বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ আন্তোনিও হাবাস। রবিবার ছিল রিকভারি সেশন। রাতে এসসি ইস্টবেঙ্গল বনাম জামশেদপুর এফসি ম্যাচ টিভির পর্দায় দেখেছেন প্রীতম কোটাল, অমরিন্দর সিংরা। সোমবার থেকেই পুরোদমে ডার্বির প্রস্তুতি শুরু করে দিল এটিকে মোহনবাগান।
সবুজ-মেরুনের বহু যুদ্ধের নায়ক তথা টিমের অন্যতম অধিনায়ক প্রীতম যেভাবেই হোক শনিবারের ডার্বি ম্যাচটা জিততে চান। তিনি বলেন, ‘‘ডার্বির গুরুত্ব যে সমর্থকদের কাছে কতটা, সেটা বঙ্গসন্তান হওয়ার জন্য ভাল করেই জানি। কেরালা ম্যাচের ভুলগুলো যাতে শনিবার না হয়, সেদিকে বাড়তি নজর দিচ্ছি।’’
হাবাসের রক্ষণের অন্যতম স্তম্ভ এর সঙ্গে আরও যোগ করেছেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচটা কাল দেখলাম। ওদের সাত নম্বর প্লেয়ার পেরোসেভিচকে বেশ ভাল লেগেছে। ড্র করলেও ওরা কিন্তু খারাপ খেলেনি। তবে আগেরবার আমরা দুটো ডার্বি ম্যাচই জিতেছিলাম। এবারও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আমরা সবাই মরিয়া।’’
এদিকে, এই প্রথমবার কলকাতা ডার্বি খেলবেন। উত্তেজিত অমরিন্দর সিং। বাগানের এক নম্বর গোলরক্ষক কোনও রাখঢাক না করেই বলছেন, ‘‘এশীয় ফুটবলে কলকাতা ডার্বি অন্যতম বড় ম্যাচ। সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে প্রথমবার এই ম্যাচ খেলব, এটা ভেবেই আমি উত্তেজনায় ফুটছি। মাঠে নেমে সেরাটাই দেব। তবে ইস্টবেঙ্গলকে খাটো করে দেখছি না। শনিবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।’’

Latest article