রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে ১২৩ কোটি টাকা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদে। জেলার ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষকের অ্যাকাউন্টে ওই প্রকল্পের টাকা ঢুকে গিয়েছে। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষদের কনফারেন্স হলে এক প্রতীকী অনুষ্ঠানে জেলার কয়েকজন কৃষকের হাতে চেক তুলে দেওয়া হল। পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন কৃষকের মৃত্যুজনিত কারণে সরকারি প্রকল্পের দু’লক্ষ টাকার চেকও দেওয়া হল তাঁদের পরিবারের হাতে।
দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলন চললেও কৃষকভাতা দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার। এমনই অভিযোগ উঠেছে। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ৬০ লক্ষ চাষি রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের আয়তায় চলে এসেছেন। রাজ্যের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও কৃষকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের দ্বিগুণ টাকা (আগে দেওয়া হত পাঁচ হাজার, বর্তমানে ১০ হাজার) পেতে শুরু করেছেন। মঙ্গলবার তৃণমূল পরিচালিত মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের উদ্যোগে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন জেলাপরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম, অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভাশিস বেজ, জেলা কৃষি উপঅধিকর্তা অশোক কুণ্ডু-সহ বিভিন্ন আধিকারিকরা। ওঁরা প্রতীকী অনুষ্ঠানে জেলার কয়েকজন কৃষকদের হাতে চেক তুলে দেন।
এদিন জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা অশোক কুণ্ডু বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় ৫ লক্ষ ৯৯ হাজার কৃষক রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার সরকারি প্রকল্পের জন্য আবেদন করেছিলেন। যাঁদের মধ্যে ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে খারিফ মরসুমে ১২৩ কোটি টাকা পেয়েছেন জেলার কৃষকেরা। তবে বাকি ২৩ হাজার কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ঠিক নেই, তাঁদের কেওয়াইসি জমা দিয়ে অ্যাকাউন্ট চালু করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-সংসদে আরও সক্রিয় হতে হবে সাংসদদের বার্তা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
অন্যদিকে তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদের কৃষি-কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম বলেন, ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে কোনও রাজনীতির রঙ দেখা হচ্ছে না। প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত কৃষকদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন এলাকার বিভিন্ন মন্দির-মসজিদে গিয়ে অন্য কৃষকদের আবেদন করার জন্য প্রচার করেন। শাহনাজ বলেন, গত বছর জেলায় ২৫৮১ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁদের সরকারি ক্ষতিপুরণ বাবদ পরিবারপিছু ২ লক্ষ করে মোট ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলায় ১৩৮ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের পরিবারকেও ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।