প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে কৃষিবিল প্রত্যাহারের কথা বলছেন। আর তারই ক্যাবিনেটমন্ত্রী বাংলার কৃষকদের হাতে মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়মানুযায়ী দেশের সব রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে সার বণ্টন করে। কিন্তু চলতি বছরে যে পরিমাণ সার দেওয়ার কথা কেন্দ্রের তা দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-Healthy Lungs: ফুসফুসের সুরক্ষায় খাদ্যের ভূমিকা
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে শোভনদেববাবু বলেন, অবিলম্বে রাজ্যের কৃষকদের জন্য ভর্তুকির সার দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী মাণ্ডব্য তখন বলেন, বাংলার কৃষকদের পর্যাপ্ত সার দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে বিরোধীতা করে তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। তথ্য দিয়ে তিনি দেখান, গত চলতি বছরে কীভাবে বাংলার কৃষকদের বঞ্চনা করেছে কেন্দ্র। এরপরই কেন্দ্রীয় সারমন্ত্রী বলেন, আপনাদের অভিযোগ দেখা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসূলভ মনোভাব বাংলার কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন-Panchayat Election: পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণবঙ্গে তৃণমূলের দিকে সমর্থনের ঢল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করে পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলার কৃষকদের। এখন আর বাংলার কৃষকদের আত্মহত্যা করতে হয় না। রবি মরশুমে কেন্দ্রীয় সরকারের সার দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। সাধারণত কেন্দ্র দু’টি সার দিয়ে থাকে। একটি ডিএটি অপরটি হল এমওভি। কিন্তু দুর্ভাগ্য খরিফ মরশুম থেকে এই সার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের যে দাবি ছিল তার চার ভাগের একভাগ পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই মনোভাব প্রমাণ করে দেয় বাংলার কৃষকদের প্রতি অবিচারের কথা। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, বিজেপি শাসিত সব রাজ্যকেই সারমন্ত্রক পর্যাপ্ত সার ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দিয়েছে। আসলে কেন্দ্র যে বাংলা বিরোধী তা প্রমাণিত হল। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় দৃঢ়তার সঙ্গে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের কাছে।