কেন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী?

কালীপুজোর আগের দিন, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিই হল ভূত চতুর্দশী। পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে এই দিন প্রদীপ জ্বালানোর বিধান রয়েছে। খেতে হয় চোদ্দো শাক। এর পিছনে রয়েছে কী কারণ? জানালেন অংশুমান চক্রবর্তী

Must read

অশুভ শক্তি দূর
আলোর উৎসব দীপাবলির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সর্বত্র আয়োজিত হবে কালীপুজো। এর ঠিক আগের দিন, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হবে ভূত চতুর্দশী। এই দিন দুপুরে চোদ্দো রকমের শাক খেতে হয়। সন্ধেবেলা জ্বালাতে হয় চোদ্দোটি প্রদীপ।
প্রশ্ন হল, ভূত চতুর্দশীর দিন কেন জ্বালাতে হয় চোদ্দো প্রদীপ? বলা হয়, পরলোকগত চোদ্দো পুরুষের আত্মা নাকি এই দিন নিজ নিজ বাড়িতে নেমে আসেন। তাই তাঁদের আসা-যাওয়ার পথকে আলোকিত করতেই নাকি এই দিন সন্ধেবেলা প্রদীপ জ্বলানোর রীতি।
হিন্দু শাস্ত্রে বলা হয়েছে, এই তিথিতে সন্ধ্যা নামার পর পরই অশরীরী প্রেতাত্মারা বের হন। আর তাঁদের হাত থেকে নিস্তার পেতেই সন্ধ্যার পর গৃহস্থের বাড়িতে চোদ্দোটি প্রদীপ জ্বালানোর নিয়ম। প্রাচীন শাস্ত্র, পুরাণ, কল্পকথা অনুসারে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ‘চামুণ্ডা’ রূপে মা কালী চোদ্দো ভূতকে সঙ্গে নিয়ে মর্ত্যে নেমে আসেন। ভক্তদের বাড়ি থেকে অশুভ শক্তি দূর করার জন্য। মা কালীকে স্বাগত জানাতেই নাকি প্রদীপ জ্বালানোর আন্তরিক আয়োজন। অন্যদিকে পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের একাংশে এই তিথিকেই ‘নরক চতুর্দশী’ বলা হয়। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশীতে নরকাসুরকে বধ করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই কারণেই বাঙালির ‘ভূত চতুর্দশী’ হল পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের একাংশে ‘নরক চতুর্দশী’। এছাড়াও ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে, এই দিনটি ছোট দিওয়ালি, রূপ চৌদাস, নরকা চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা নরকা পূজা নামেও পরিচিত।

আরও পড়ুন-বিজেপি প্রার্থীকে জালি বললেন সাংসদ

নেমে আসেন বলি রাজা
এই তিথিতেই নাকি রাজা বলি অসংখ্য অনুচর-সহ ভূত, প্রেত নিয়ে মর্ত্যে নেমে আসেন। পুজো নিতে। বলি রাজা, পূর্বপুরুষের প্রেতাত্মা ছাড়াও নানান বিদেহী আত্মা এই দিন মর্ত্যলোকে নেমে আসে। ভূত, পিশাচ, প্রেত থেকে বাঁচতে, অতৃপ্ত আত্মাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে ও ‘নেগেটিভ’ এনার্জি বা অশুভ শক্তিকে বাড়ি থেকে তাড়াতেই নাকি চোদ্দোটি প্রদীপ জ্বালানো হয়। প্রশ্ন হল, ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে বলি রাজার সম্পর্ক কী? পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, শ্রীবিষ্ণুর ভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র দৈত্যরাজ বলি, সাধনবলে শক্তি অর্জন করে স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল জয় করে ক্রমশ মহিষাসুরের মতো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী দেবতারাও তাঁর হাত থেকে কোনওভাবেই রেহাই পাচ্ছিলেন না। স্বর্গরাজ্য দখল করে দেবতাদের বিতাড়িত করার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। এমন অবস্থায় শ্রীবিষ্ণুর দ্বারস্থ হন দেবতারা। রাজা বলির তাণ্ডব থামাতে, বামন রূপ ধারণ করে আবির্ভূত হলেন শ্রীবিষ্ণু। দানবরাজ বলির কাছে তিনটি চরণ রাখার জায়গা ভিক্ষা চাইলেন। ভিক্ষা দিতে রাজি হলেন অহংকারী বলি। তখন দুইপা দিয়ে স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে নিলেন বামনরূপী শ্রীবিষ্ণু। তৃতীয় পা কোথায় রাখবেন, তা জিজ্ঞেস করা মাত্র প্রতিশ্রুতি রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলি, নিজের মাথা পেতে দিলেন বামন অবতারের চরণে। বলির মাথায় পা রেখে, তাঁকে পাতালে প্রবেশ করান বামনরূপী শ্রীবিষ্ণু। দর্পচূর্ণ হয় বলির। সেই থেকে পাতালই হল দৈত্যরাজ বলির আবাসস্থল। তবে, তাঁর এই আত্মাহুতি দেখে শ্রীবিষ্ণু বলিকে অমরত্ব প্রদান করেছিলেন। সেই সঙ্গে বছরে একটি দিন তাঁকে ভূত-প্রেতাত্মা, পিশাচ-অশরীরীর সঙ্গে এই পৃথিবীতে আসার অনুমতি দেন। সেই দিনটিই হল ভূত চতুর্দশী।
নাশ হয় সমস্ত পাপ
ভূত চতুর্দশীতে, সূর্যোদয়ের আগে স্নান করতে হয় এবং পরিষ্কার কাপড় পরতে হয়। এই দিন যমরাজের পুজো করা হয়। দীর্ঘজীবন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা কামনায়। রয়েছে যম দীপ দান করার বিধানও। এছাড়াও এই দিন ধর্মরাজ, মৃত্যু, অন্তক, বৈবস্বত, কাল, সর্বভূতক্ষয়, যম, উড়ুম্বর, দধ্ন, নীন, পরমেষ্ঠী, বৃকোদর, চিত্র ও চিত্রগুপ্ত, যমলোকের এই চোদ্দো জনের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতিও প্রচলিত রয়েছে। সেইসঙ্গে মা কালী, ভগবান শিব, শ্রীকৃষ্ণ, হনুমান ও শ্রীহরি বিষ্ণুর বামন অবতারের বিশেষ পুজো করা হয়। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে এই সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করে তাঁদের পুজো করা হয়। দেবতাদের সামনে জ্বালাতে হয় ধূপ, প্রদীপ। সিঁদুরের তিলক লাগানো এবং মন্ত্র জপ করা হয়। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভূত চতুর্দশীর দিন যমদেবের পুজো করলে দূর হয় অকালমৃত্যুর ভয়। এছাড়াও, নাশ হয় সমস্ত পাপ। তাই সন্ধ্যায় যমদেবের পুজো করতে হয় এবং বাড়ির দরজার উভয় পাশে প্রদীপ জ্বালাতে হয়। অনেক মহিলা ভূত চতুর্দশীর দিন উপবাস করেন, বাড়ির সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করেন। অনেকেই ভূত চতুর্দশীকে রূপ চৌদাসও বলেন। তাঁরা মনে করেন, এই দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখমণ্ডল ও শরীরের অন্যান্য অংশে হলুদ লাগানো উচিত। এরপর জলের মধ্যে নিমপাতা মিশিয়ে স্নান করা উচিত। তাতে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।

আরও পড়ুন-পূর্ব লাদাখ থেকে সেনা সরানো শুরু করে দিল ভারত ও চিন

ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে যমের সম্পর্ক
প্রশ্ন হল, ভূত চতুর্দশীর সঙ্গে যমের কী সম্পর্ক? পুরাণ অনুসারে একবার যমরাজ যম দূতদের জিজ্ঞেস করেন যে, কোনও জীবের প্রাণ হরণ করার সময় তাঁদের কারও উপর কি কোনও দয়া মায়া আসে না? প্রথমে কিছুটা সঙ্কোচ বোধ করে, তারপর যমদূতরা যমরাজকে জানায় যে, মৃত্যুপথযাত্রী কোনও ব্যক্তির উপরেই তাদের তিলমাত্র দয়ামায়া হয় না। কিন্তু দ্বিতীয় বার যমরাজ একই প্রশ্ন করায় যমদূতরা একটি ঘটনা সম্পর্কে তাঁকে জানায়। ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে তারা বলে যে, একবার হেম নামক এক রাজার পত্নী একটি ফুটফুটে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। পুত্রসন্তানের জন্মের পর জ্যোতিষীরা নক্ষত্র গণনা করে জানান যে, বিবাহের চারদিন পরেই সেই রাজপুত্রের মৃত্যু হবে। এই ভবিষ্যদ্বাণী শুনে মহারাজা হেম ঠিক করেন যে, তিনি কখনওই পুত্রের বিবাহ দেবেন না। সেই মতো তিনি ওই বালককে যমুনা নদীর তীরে একটি গুহায় ব্রহ্মচারী হিসেবে লালন পালন করতে শুরু করেন। রাজপুত্র যৌবনে পদার্পণ করার পরে একদিন সেই যমুনা তীরে মহারাজা হংসের পুত্রী বিহার করতে আসেন। রাজকুমার সেই রাজকন্যাকে দেখে মুগ্ধ হন এবং তাঁরা গন্ধর্ব মতে বিবাহ করেন। জ্যোতিষ গণনা সঠিক প্রমাণ করে বিয়ের ঠিক চারদিন পরেই রাজপুত্রের মৃত্যু হয়। মৃত স্বামীর জন্য হৃদয় আকুল করা বিলাপ শুরু করেন রাজকন্যা।
যমদূতরা যমরাজকে বলে যে, সেই নববিবাহিতার বিলাপ শুনে তাদের কঠিন হৃদয়ও কেঁপে ওঠে। ওই রাজকুমারের প্রাণ হরণের সময় তাদের চোখ থেকেও জল গড়িয়ে পড়ে। তখন এক যমদূত যমরাজকে জিজ্ঞেস করে, ‘অকাল মৃত্যু থেকে মানুষকে বাঁচানোর কী কোনও উপায় নেই?’ তখন তাঁদের একটি উপায় জানান যমরাজ। তিনি বলেন,‘অকাল মৃত্যু থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ভূত চতুর্দশীর দিনে নিয়ম মেনে পুজো ও দীপদান করতে হবে। ভূত চতুর্দশীতে দীপদান করলে আর অকাল মৃত্যুর ভয় থাকে না।’ এই কারণেই ভূত চতুর্দশীতে যমের নামে প্রদীপ জ্বালানোর প্রথা প্রচলিত হয়।
কেন খাওয়া হয় চোদ্দো শাক?
হিন্দুধর্ম মতে, মৃত্যুর পর আত্মারা প্রকৃতির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়। একে বলা পঞ্চভূত। ভূত চতুর্দশীর দিন চোদ্দো শাক খেয়ে চোদ্দো পূর্বপুরুষকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এই দিন চোদ্দো শাক ধোয়ার পর বাড়ির প্রতিটি কোণে জল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। চোদ্দো শাকের সম্মিলিত স্বাদ তিতকুটে৷ ঋতু পরিবর্তনের সময় এই স্বাদ গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা৷ চোদ্দো শাকের কথা বলেছেন নব্য স্মৃতিশাস্ত্রকার রঘুনন্দন৷ কোন শাকে কী উপকার, জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন-যুব দলের পরীক্ষা, সাফে মেয়েদেরও

চোদ্দো শাকের একটি হল ওল শাক। ওলের পাতা এবং ওল অর্শ, লিভারের রোগ ও রক্ত আমাশা সারাতে কাজ করে। বেতো শাকও খাওয়া হয়। এমনিতেই চাষের জমিতে হওয়ায় এই শাকে গুরুত্বপূর্ণ আটটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকার পাশাপাশি অনেকগুলি ভিটামিনও থাকে। বাত থেকে অম্বল, কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে ত্বকের রোগ, সব ক্ষেত্রেই কাজে আসে এই শাক। কালকাসুন্দে শাকের রস অ্যালার্জি, জ্বর, ক্ষত নিরাময় ও কোষ্ঠবদ্ধতা দূর করতে ব্যবহার করা হয়। সর্ষে শাক খেতে ভাল লাগার পাশাপাশি একাধিক ভিটামিন এবং লোহা কিংবা ম্যাগনেশিয়াম সরবরাহ করে শরীরকে। কালীপুজোর আগের দিন কেঁউ শাকও খাওয়া হয়। এই শাকের রস হজমের পাশাপাশি বাতের রোগ এবং কুষ্ঠ পর্যন্ত সারাতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়। নিম পাতাও খাওয়া হয়। দীর্ঘদিন জীবিত থাকা এই গাছটির পাতার প্রচুর গুণ। চর্মরোগ, কুষ্ঠ ও সুগার রোগীদের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত। শালিঞ্চ বা শিঞ্চে শাক আগাছা হিসেবে জন্মায়। ত্বক, চুল ও চোখের জন্য এটি খুবই উপকারী। ডায়েরিয়া বন্ধ করতেও এই শাক কাজ করে। পটলের পাতা বা পলতা পাতা খাওয়া হয় চোদ্দো শাকের মধ্যে। শরীরে রক্ত বাড়াতে ও শোধন করতে কাজ করে পলতা পাতার রস। হজম শক্তির পাশাপাশি বাড়ায় খিদেও। কাটা জায়গায় পটল পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি সেটা ভাল হয়। গুড়চি বা গুলঞ্চ শাক খুব উপকারী। সুগার থেকে যক্ষ্মা, বাত থেকে গনোরিয়া, একাধিক রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। করোনার সময়ও ব্যবহার হয়েছে এই লতানো গাছ। জয়ন্তী শাক খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। বহুমূত্র এবং শ্বেতীর মতো রোগের চিকিৎসাতেও ব্যবহার হয় এই শাক। হিঞ্চে শাক বা হেলেঞ্চা জলে জন্মায়। এই শাক খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে। এই শাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। হেলেঞ্চা শাক বেটে মাথায় লাগালে ব্যথা কমে। কমে যায় ব্লাড সুগারও। শুষনি শাকও পরিচিত বহু মানুষের কাছে। এই শাক প্রতিদিন খেলে মাথার যন্ত্রণা বা প্রচণ্ড মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কমতে পারে উচ্চ রক্তচাপ বা হাঁপানি রোগ। শরীরে ব্যথা কমাতেও কার্যকরী এই শাক। চোদ্দো শাকের মধ্যে থাকে ঘণ্টাকর্ণ বা ঘেঁটু শাক। এই শাক খেলে সারে বাত, জ্বর, চুল পড়া, হাঁপানি, সর্দিকাশি কিংবা লিভারের রোগ-সহ একাধিক অসুখ। ঘা বা ফুলে যাওয়া জায়গার ওপর এই পাতা বেটে লাগালে তাড়াতাড়ি কাজ হয়। শুলফা বা শেলুকা শাক অথবা শতপুষ্প নামে পরিচিত শিশুদের পেটের রোগ সারাতে কার্যকরী। পাশাপাশি জ্বর থেকে চোখের রোগ বহুক্ষেত্রেই কাজে আসে।
পরলোকগত আত্মাদের স্মরণ
ভূত চতুর্দশীর প্রায় একই সময়ে, প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর, পরলোকগত আত্মাদের স্মরণে পশ্চিমি দুনিয়ায় সাড়ম্বরে পালিত হয় হ্যালোইন ইভ। দুই হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন এই ভূতুড়ে উৎসবের ইতিহাস। হ্যালোইন ইভের অর্থ হল ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। এই দিন রাস্তাঘাটে অনেকেই ভূতের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ান। অন্যদের ভয় দেখিয়ে আনন্দ পান।
এই বছর ভূত চতুর্দশী পড়েছে দৃক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী। ভূত চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে ৩০ অক্টোবর দুপুর ১.১৫ মিনিটে। থাকবে ৩১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.৫২ পর্যন্ত। তার পরই শুরু হবে অমাবস্যা। যে তিথিতে ধূপ দীপ জ্বেলে আরাধনা করা হবে মা কালীর।

Previous article

Latest article