দীর্ঘ যাত্রাপথে যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য সরকারি উদ্যোগে বিশ্রামাগার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘পথসাথী প্রকল্প’ ইতিমধ্যেই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক ও যাত্রীদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে।
এবার এই ‘পথসাথী’ কেন্দ্রগুলির পরিচালনার ক্ষেত্রে বেনজির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। ‘পথসাথী’ মোটেলগুলির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এবার রাজ্য সরকার নিজের হাতে নিচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার পাশে তৈরি হওয়া এই সব পান্থশালার পরিচালনার ভার এবার পর্যটন দফতরের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী আবাসন দপ্তরের সচিব এবং পর্যটন সচিবের সঙ্গে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন-গুরুত্বপূর্ণ দিল্লি সফরের চতুর্থদিন, নীতীন-মমতা বৈঠকে উঠতে পারে জাতীয় সড়ক প্রসঙ্গ
এ পর্যন্ত গোটা রাজ্যে এধরণের ৭০ টি পান্থশালা তৈরি হয়েছে। পূর্ত দফতর এবং আবাসন দফতরের যৌথ উদ্যোগে এই সব পান্থশালার পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এতদিন এসবের পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মাধ্যমে এগুলি পরিচালনা করা হত। নতুন জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চলতি ব্যবস্থায় পথসাথীগুলির সর্বাঙ্গীণ সুষ্ঠু পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। পরিকাঠামো আরও ভালোভাবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে এবার পর্যটন দফতরকে যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় ভিত্তিতে পর্যটন দপ্তর সেগুলি পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর বেআইনি নজরদারি, প্রতিবাদে সরব তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
পথসাথী বিশ্রামাগারে বসার জায়গা, পরিচ্ছন্ন শৌচাগার, হালকা খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ছাড়াও রাত্রিবাসেরও উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত লোকবলের অভাবে অনেক সময় এই সমস্ত পরিকাঠামো সর্বাঙ্গীনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। পর্যটন দফতর দায়িত্ব নিয়ে এগুলিকে পুরোদস্তুর পেশাদার অতিথি নিবাস হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।