কানপুর, ২৮ নভেম্বর : নিউজিল্যান্ড ইনিংস শুরু হওয়ার একটু পরেই মাঠ থেকে বেরিয়ে গেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ঘাড়ের ব্যথা এখনও আছে। প্রথম ইনিংসের মতোই উইকেটের পিছনে এসে দাঁড়ালেন কেএস ভরত।
আরও পড়ুন-Tripura: পুরভোট ত্রিপুরায় তেইশে পরিবর্তন নিশ্চিত করল, আত্মবিশ্বাসী রাজীব
আইসিসি ম্যানুয়ালে পরিবর্তের ব্যাট হাতে নামার নিদান নেই। তাই কষ্ট নিয়েও এদিন আট নম্বরে ব্যাট করতে হয়েছে তাঁকে। শেষবেলায় অজিঙ্ক রাহানে যখন ২৩৪-৭-এ ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দিলেন, তখনও ঋদ্ধিমান ৬১ নট আউট। ব্যাট করার সময় বারবার ঘাড়ে হাত দিয়েছেন। সিঙ্গলস নেওয়ার সময় এই অস্বস্তি স্পষ্ট ধরা পড়েছে। কিন্তু সেটা নিয়েও সাউদি-জেমিসনদের যাবতীয় ঝাঁজ নিলকণ্ঠ হয়ে সহ্য করলেন। না হলে এই লিড হত না ভারতের। দিনের শেষে জয়ের সরণিতে দাঁড়ানোর সুযোগও থাকত না।
আরও পড়ুন-Abhishek Bandhyopadhyay: ত্রিপুরায় বীর সেনাদের অভিনন্দন জানিয়ে টুইট অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সকালে ৫১ রানে চার উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল ভারত। ৩২ থেকে ৫১ রানের মধ্যে পরপর ফিরে গেলেন পুজারা (২২), রাহানে (৩) ও মায়াঙ্ক (১৭)। পুজারা-রাহানের অফ ফর্ম কানপুরেও অব্যাহত থাকল। আর এতে প্রশ্ন উঠে গেল মুম্বই টেস্ট নিয়ে। বিরাট ফিরলে কী হবে টিম কম্বিনেশন? কে বাইরে যাবেন? ইতিমধ্যেই প্রাক্তনদের কয়েকজন রাহানের দিকে আঙুল তুলেছেন। খুব ভাল জায়গায় নেই পুজারা আর মায়াঙ্কও।
ঋদ্ধিমানের লড়াইয়ের দিনে আরও একটা লড়াই ভারতকে জয়ের দরজায় পৌঁছে দিল। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর এই ইনিংসেও ৬৫ রান করে গেলেন শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম ভারতীয় হিসাবে অভিষেকে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরির নজির গড়লেন শ্রেয়স। এদিনই আবার কিউয়ি ওপেনার উইল ইয়ং-এর উইকেট নিয়ে হরভজন সিংকে ছুঁয়ে ফেললেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনেরই এখন ৪১৭ উইকেট। এঁদের সামনে শুধু কপিলদেব ও অনিল কুম্বলে। তবে ইয়ং সম্ভবত আউট ছিলেন না। বল স্পিন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরে ডিআরএসের আপিল করায় আম্পায়াররা সেই দাবি নাকচ করে দিয়েছিলেন।
২৮৩ রানের টার্গেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড চতুর্থ দিনের শেষে ৪ রান তুলতেই এক উইকেট হারিয়ে বসেছে। ভারতের মাটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে সবথেকে বেশি রান তাড়া করার নজির ১৯৮৭-তে ভিভ রিচার্ডসের দলের। তাঁরা সেবার ২৭৬ রান তুলেছিলেন। তবে গ্রিন পার্কের উইকেটের যা অবস্থা, তাতে এবারের কাজটা আরও কঠিন।
স্কোরবোর্ড, চতুর্থ দিন
ভারত (প্রথম ইনিংস): ৩৪৫, নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস): ২৯৬, ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): (আগের দিনের ১ উইকেটে ১৪ রানের পর) মায়াঙ্ক আগরওয়াল ক ল্যাথাম বো সাউদি ১৭, চেতেশ্বর পুজারা ক ব্লান্ডেল ব জেমিসন ২২, অজিঙ্ক রাহানে এলবিডব্লিউ ব আজাজ ৪, শ্রেয়স আইয়ার ক ব্লান্ডেল ব সাউদি ৬৫, রবীন্দ্র জাদেজা এলবিডব্লিউ ব সাউদি ০, রবিচন্দ্রন অশ্বিন বোল্ড জেমিসন ৩২, ঋদ্ধিমান সাহা নটআউট ৬১, অক্ষর প্যাটেল নটআউট ২৮। অতিরিক্ত: ৪। মোট (৮১ ওভারে ৭ উইকেটে ডিক্লেয়ার): ২৩৪ রান। পতন: ২-৩২, ৩-৪১, ৪-৫১, ৫-৫১, ৬-১০৩, ৭-১৬৭।
বোলিং: সাউদি ২২-২-৭৫-৩, জেমিসন ১৭-৬-৪০-৩, প্যাটেল ১৭-৩-৬০-১, রবীন্দ্র ৯-৩-১৭-০, উইলিয়াম সমারভিল ১৬-২-৩৮-০। নিউজিল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস): ল্যাথাম নটআউট ২, ইয়ং এলবি ব অশ্বিন ২, সমারভিল নটআউট ০। মোট (৪ ওভারে ১ উইকেটে): ৪ রান। পতন: ১-৩। বোলিং: অশ্বিন ২-০-৩-১, অক্ষর ২-১-১-০।