উপাচার্য নিয়োগে আচার্যের ভূমিকার সমালোচনায় ব্রাত্য, বিল পাশ বিধানসভায়, তৈরি হচ্ছে ভবানীপুর ইউনিভার্সিটি

৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশের পরেও রাজ্যপাল এই নিয়ে অযথা বিলম্ব করছেন বলে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ

Must read

প্রতিবেদন : বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার বিধানসভায় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিলের ওপর আলোচনা শেষে জবাবি ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপালের অযাচিত হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালনা বিঘ্নিত হচ্ছে। শিক্ষার মানের অবনতি হচ্ছে। ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশের পরেও রাজ্যপাল এই নিয়ে অযথা বিলম্ব করছেন বলে শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ। বুধবার বিধানসভায় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল ২০২৪ পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ সেই সময় বিরোধী বিধায়কদের একাংশ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির গুণমান কমে যাওয়ার অভিযোগ করেন৷ যার জবাবে পালটা রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ব্রাত্য বসু৷

আরও পড়ুন-রিজিজুর কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনা হবে, ঘোষণা তৃণমূল কংগ্রেসের

শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ করেন, রাজ্যপাল যেদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে খেলনা বলে মনে করতে শুরু করেছেন, সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির এই অবস্থা হতে শুরু করেছে৷ সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে স্পষ্ট ভাষায় বলেছে, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বে তৈরি এক্সপার্ট কমিটি নাম দেবে৷
বিধানসভায় ব্রাত্য আরও বলেন, এক্সপার্ট কমিটির পাঠানো তালিকা থেকে মুখ্যমন্ত্রী উপাচার্যদের নাম চূড়ান্ত করে তা রাজভবনে পাঠাবেন৷ এখানে উপাচার্য নিয়োগে রাজ্যপালের কোনও ভূমিকা নেই৷ রাজ্যপাল শুধু ডাকবাক্স৷ মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো নামে তিনি শুধু অনুমোদন দেবেন৷ তা সত্ত্বেও তিনি অযথা বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছেন। একইসঙ্গে দেওয়া নামগুলি অনুমোদন না করে দফায় দফায় অনুমোদন দিচ্ছেন। এই অযথা বিলম্বের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন-খুনের হুমকি পেয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকতেই ধৃত দুই

শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ভবানীপুরের গুজতাটি এডুকেশন সোসাইটি এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি তৈরি করবে। রাজ্যে ভাষা সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রথম। এর আগে বিলের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীরা শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের অভিযোগ করেন। যদিও শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। আলোচনা শেষে ধ্বনি ভোটে এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিলটি বিধানসভায় গৃহীত হয়।

Latest article