প্যারিস, ৩০ নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করলেন সেই লিওনেল মেসি। সোমবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে প্যারিসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার শোভা পেল মেসির হাতে। কেরিয়ারের সাত নম্বর ব্যালন ডি’অর ট্রফিটা জিতে আবেগে ভেসে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
আরও পড়ুন-কিউয়ি ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন সানির
তবে অনুষ্ঠানে না থেকেও ব্যালন-বিতর্কে জড়িয়ে গেল মেসির প্রবল প্রতিদ্বন্দী ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর নাম। সিআর সেভেনকে উদ্ধৃত করে একটি পত্রিকায় লেখা হয়েছে যে, তিনি নাকি মেসির থেকে বেশি ব্যালন ডি’ওর না জেতা পর্যন্ত ফুটবল থেকে অবসর নেবেন না। আর যিনি এই প্রতিবেদন লিখেছেন, সেই প্যাসকাল ফেরি আবার ব্যালন ডি’ওর সংগঠনের অন্যতম কর্তা। এই খবর ব্যালন পুরস্কার প্রদানের দিনই ছড়িয়ে পড়ায় ফুটবল মহলে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন-ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে
এরপর আসরে স্বয়ং রোনাল্ডো অবতীর্ণ হয়ে জানিয়ে দেন, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে তিনি মোটেই এসব বলেননি। আসলে তাঁর নামকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রচারের জন্য সম্পূর্ণ মিথ্যে কথা লিখেছেন ফেরি। এরই সঙ্গে রোনাল্ডো আরও বলে দেন, তিনি কাউকে টেক্কা দেওয়ার জন্য খেলেন না। যখন যে দলে খেলেন, সেখানেই একশো ভাগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর লড়াই শুধু নিজের সঙ্গে। আর ফুটবল খেলেন সমর্থকদের দিকে তাকিয়ে। যারা তাঁকে ভালোবাসেন।
এদিকে, ২০০৯ সালে প্রথমবার এই ট্রফি জিতেছিলেন মেসি। এরপর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালের পর এবার লুইস সুয়ারেজের হাত থেকে সাত নম্বর ব্যালন ডি’অর ট্রফি নেওয়ার পর মেসির প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই মঞ্চে ফিরে আসাটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য লাগছে। দু’বছর আগে যখন শেষবার এই পুরস্কার জিতেছিলাম, তখন ভেবেছিলাম, এবারই শেষ। তবে দেশের জার্সিতে কোপা আমেরিকা ট্রফি জয় সম্ভবত আমাকে এই ট্রফি জিততে সাহায্য করেছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কবে অবসর নেব, এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে শুরু করেছি। জানি না আরও কত বছর খেলব। আশা করি, আরও অনেকগুলো বছর আমার সামনে রয়েছে। কারণ আমি এখনও নিজের খেলা উপভোগ করছি।’’
ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জেতার দৌড়ে মেসি ছাড়াও পাঁচজনের তালিকায় ছিলেন রবার্ট লেয়নডস্কি, করিম বেঞ্জেমা, জর্জনিও এবং এনগোলো কন্তে। এই পাঁচজনের মধ্যে মেসি পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৬১৩টি পয়েন্ট। বায়ার্ন মিউনিখ তারকা লেয়নডস্কি ৫৮০ পয়েন্ট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এদিকে, মেসিকে কড়া টক্কর দিলেও আরও একবার ব্যালন ডি’অর ট্রফি অধরাই রইল লেয়নডস্কির। তবে সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে তাঁকে বছরের সেরা স্ট্রাইকারের সম্মান দেওয়া হয়েছে। গত বছরই ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিততে পারতেন লেয়নডস্কি। কিন্তু করোনার জন্য গতবারের ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানই বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার মঞ্চে দাঁডি়য়েই বায়ার্ন তারকার উদ্দেশ্যে মেসি বলেন, ‘‘আমি লেয়নডস্কির কথা বলতে চাই। সবাই জানে এবং আমি নিজেও বিশ্বাস করি, গত বছর এই ট্রফিটা ওরই প্রাপ্য ছিল। মনে হয়, ফ্রান্স ফুটবলের উচিত ওকে ২০২০’র ব্যালন ডি’অর ট্রফি দেওয়া।’’
মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আলেক্সিয়া পুতেয়াস। সেরা উদীয়মান ফুটবলারের সম্মান পুরস্কার জিতেছেন বার্সার তরুণ তুর্কি পেদ্রি।