মুম্বই, ১ ডিসেম্বর: গ্রিন পার্কের পিচ নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিল না ভারতীয় শিবির। কোচ রাহুল দ্রাবিড় টেস্ট ড্র হওয়ার পর কোনও রাখঢাক না করেই জানিয়েছিলেন, শেষ দিনে উইকেটের চরিত্র তাঁকে অবাক করেছে। সরাসরি না হলেও, ঘুরিয়ে পিচের সমালোচনা করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও। এবার সবার চোখ ওয়াংখেড়ের ২২ গজে।
আরও পড়ুন-KMC 90: ‘আমরা শুধু পাস করব না, লেটারমার্কস নিয়ে পাস করব’ আত্মবিশ্বাসী চৈতালি
কানপুরে অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছিল। সেই আক্ষেপ মুম্বইয়ে মেটাতে চায় ভারত। কেন উইলিয়ামসনদের কাবু করতে ওয়াংখেড়েতে ঘূর্ণি উইকেট চাইছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু কোভিডের জন্য গত দুটো বছরে ওয়াংখেড়েতে খুব কম ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছে। শেষ কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচের আসর বসেছিল ২০২০ সালের জুন মাসে। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেই ওয়ান ডে ম্যাচের পর ওয়াংখেড়ের মূল তিনটি পিচে কোনও ম্যাচই হয়নি। তাই উইকেটের ঘাস অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-বিরাটের দলে ফেরা সমস্যা নয়: মামরে
তবুও পিচ প্রস্তুতকারকরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করার। হাতে সময় খুব কম। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ঘাস ছাঁটার কাজ। পাশাপাশি গত রবিবার থেকেই পিচে জল দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে উইকেট শুকনো খটখটে হয়ে ওঠে। যদিও কিউরেটরদের ধারণা, সকালের দিকে জোরে বোলাররা বাড়তি সুবিধে পাবেন। লাঞ্চের পর উইকেট হয়ে উঠবে ব্যাটিং সহায়ক। তবে পিচে বাউন্স থাকার সুবিধে নিতে পারবেন দু’দলের স্পিনাররা।