ব্যুরো নিউজ : শেষমেশ কাঁথিতে লরির উপরে মঞ্চ বেঁধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে সভা করতে হল। জনাকয়েক বাইরের লোককে নিয়ে করলেন মিছিল। অথচ তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণে বিরাট আস্ফালন দেখালেন। নিজের জেলাতেই গুরুত্বহীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এহেন কাজকর্মকে প্রবল আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অখিল গিরি বললেন, ‘‘আগেই কাঁথিতে সভা করে ‘সিনেমা’ দেখানোর হুমকি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই ‘সিনেমা’ সুপার ফ্লপ। বিজেপির মিছিলে লোকই হল না! মুগবেড়িয়া, খেজুরি-সহ বাইরে থেকে লোক আনতে হয়েছে। লরির উপরে দাঁড়িয়ে কাঁথি পুরসভা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছেন বিরোধী দলনেতা। কাঁথি পুরসভা দখল করবেন কীভাবে? মিছিলেও কাঁথি শহরের লোক ছিল হাতেগোনা।’’
আরও পড়ুন : মুর্শিদাবাদে অভিনব অভিযান ‘স্কুল ডাকছে’
অখিল আরও জানান, ‘‘শুনলাম বিরোধী দলনেতা বিজেপি কর্মীদের নাকি বলেছেন তৃণমূল কোথায় কোথায় চুরি করেছে, তার তালিকা বানাতে। সামনে পুরসভার ভোট। আর গত কয়েক দশক ধরে কাঁথি পুরসভা শাসন করেছে অধিকারী অ্যান্ড কোং। এই কোম্পানির দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হলে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি প্রকাশ পাবে।’’ অধিকারী অ্যান্ড কোং-এর বিরুদ্ধে তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়বে বলে মনে করেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। বলেন, ‘‘অধিকারীরা কাঁথিতে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মহিলা কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ— কিছুই করেনি। শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছে। তাই তাদের থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছেন। ফলে কাঁথিতে লরির উপরে সভা করতে হচ্ছে বিরোধী দলনেতাকে! এরপর বিরোধী দলনেতাকে টোটো চেপে শহর ঘুরে একা একা প্রচার করতে হবে।’
আরও পড়ুন : বিরোধী নেতার ‘সিনেমা’ সুপারফ্লপ
এদিকে নন্দীগ্রামের হরিপুরের কিষানমাণ্ডিতে ডেপুটেশনের নামে তাণ্ডব চালিয়েছিল বিজেপি। মারধর করেছিল কৃষি আধিকারিক বিদ্যুৎবরণ মণ্ডলকে। সেই ঘটনাস্থলে বৃহস্পতিবার ধিক্কারসভা করল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শাখা। কৃষি আধিকারিককে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুরের সারা জেলা থেকে বিভিন্ন দফতরের একজন করে কর্মচারী নন্দীগ্রামের এই প্রতিবাদসভায় উপস্থিত হন। সভায় বিশাল জমায়েত থেকে এটা স্পষ্ট যে, কৃষি আধিকারিককে মারধরের ঘটনার বিরুদ্ধে জেলার কর্মচারী ফেডারেশন ঐক্যবদ্ধ। সরকারি কর্মচারীদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে এদিনের সভায় ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। বলেন, ‘‘সামনেই পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন। বিজেপির গুন্ডাবাহিনী নন্দীগ্রামের মতো বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের তার বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।’’ এদিনের সভায় ছিলেন বিধায়ক বিপ্লব রায়চৌধুরি, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হাবিবুর রহমান, নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বদেশ দাস প্রমুখ। বিরোধী কর্মচারী সংগঠন থেকে বহু কর্মী নন্দীগ্রামের সভাতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি।