প্রতিবেদন : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ (Cyclone Jawad)৷ শনিবার ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলাম জেলার কলিঙ্গপত্তনম ও ওড়িশার গঞ্জাম জেলার গোপালপুরের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়বে জাওয়াদ৷ ল্যান্ডফলের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০–১২০ কিলোমিটার৷ ফলে দুই রাজ্যের প্রশাসন যেমন তৎপর, তেমনই পশ্চিমবঙ্গ সরকারও (West Bengal Government) তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে৷ ল্যান্ডফলের জায়গা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দূরত্ব ৮০০ কিলোমিটার হলেও ঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে রাজ্যে৷ শুক্রবার থেকেই রাজ্যের আকাশে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে৷ ফলে ভরা শীতেও ভ্যাপসা গরম হবে৷ আকাশ মেঘলা থাকবে৷ বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে৷ শনিবার ভারী বৃষ্টি৷ রবিবার দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা৷ সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া৷
আরও পড়ুন: Mamata-Abhishek: গোয়ায় ঝড় তুলতে ১৩ই, মমতা–অভিষেক
বৃহস্পতিবার মুম্বই (Mumbai) থেকে ফিরেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রীর সঙ্গে৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের উপকূল এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়েছে৷ পাঠানো হচ্ছে শুকনো খাবার, ওষুধ ও শিশুদের জন্য দুধ৷ গাছ ভেঙে থাকলে দ্রুত সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে৷ যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে৷ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম৷ এলাকায় এলাকায় চলছে মাইকিং৷ দিল্লিতেও প্রধানমন্ত্রী জাওয়াদ (Cyclone Jawad) মোকাবিলায় বেশকিছু ব্যবস্থা নিয়েছেন৷