সুস্মিতা মণ্ডল, কাকদ্বীপ : ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচু এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত দশ হাজার মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। নাগাড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলছে। উপকূল এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বেশি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ বাড়ে। রাতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অমাবস্যার কোটাল থাকায় বকখালি, সাগরের সমুদ্র সকাল থেকে উত্তাল ছিল। সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রে পর্যটকদের নামতে নিষেধ করা হয়েছে। সব হোটেল, লজের বুকিং আগামী তিনদিন বাতিল করতে বলা হয়েছে। নতুন করে পর্যটকদের আসতে বারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে কন্ট্রোল রুম
শনিবার নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুরের নেতৃত্বে উপকূলরক্ষী বাহিনী, সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বকখালি সমুদ্রতটে মাইকিং করে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করেন। শনিবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মহকুমা ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। ব্লকস্তর থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যোগাযোগ থাকছে সব পঞ্চায়েতের সঙ্গে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ পুরীর কাছ থেকে বাঁক নিয়ে এই জেলার সাগর ও বকখালির মাঝখান দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে যাবে। সেইসময় ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বকখালি, সাগর, কাকদ্বীপের ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। ওইসব এলাকার ১৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে ফ্লাড শেল্টার বা স্কুলে তোলা হয়েছে। ঘোড়ামারা, মৌসুনি, গোবর্ধনপুরের মতো দ্বীপাঞ্চলের ওপর বিশেষ নজর থাকছে। এসডিআরএফ-এর টিম এলাকায় মোতায়েন থাকছে। শুক্রবার কাকদ্বীপের আট নম্বর লটে মহড়া দেয় এনডিআরএফ। জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, প্রশাসন প্রস্তুত। মানুষ তুলে আনার কাজ শুরু হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ত্রাণ মজুত আছে।