প্রতিবেদন : ডার্বি ও ওড়িশা ম্যাচে ১০ গোল হজম করার পর চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট পেয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু জয়ের আশা জাগাতে পারেনি দল। তবু ইস্টবেঙ্গল কোচ মনে করছেন, খুব তাড়াতাড়ি জয়ে ফিরবে দল। দিয়াজ বলেছেন, ‘‘অমরজিৎ, হীরা, চিমারা ভাল খেলেছে। কিন্তু আরও ভাল করতে হবে। খেলার মান বাড়াতে হবে। ম্যাচ জেতাই আমাদের লক্ষ্য। আশা করি সেটা দ্রুত আসবে। চেন্নাইয়িনের সঙ্গে ড্র দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এখান থেকেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। জয়ের রাস্তাও আমরা ঠিক খুঁজে পাব।’’
আরও পড়ুন : Christiano Ronaldo : দলবদলে অনিয়মের অভিযোগ
দিয়াজ ভবিষ্যৎ নিয়ে আশার কথা শোনালেও ম্যানুয়েল দিয়াজের দলকে নিয়ে আশাবাদী হতে পারছেন না লাল-হলুদের ঘরের ছেলেরা। শুভম সেন, হীরা মণ্ডল, মহম্মদ রফিকরা লড়াকু ফুটবল খেলে দলকে এক পয়েন্ট এনে দিলেও খেলায় খুশি নন প্রাক্তনরা। একদা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের স্তম্ভ তথা ক্লাবকে প্রথম জাতীয় লিগ এনে দেওয়া কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘‘এই ইস্টবেঙ্গল দলের উপর আস্থা রাখা যায় না। সেই মানের প্লেয়ার নেই যারা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেবে। গতবার তবু ব্রাইট ছিল। এবার দেশি-বিদেশি মিলিয়ে খুব সাধারণ মানের কিছু ফুটবলার, যারা শুধু পরিশ্রম করছে। কিন্তু ম্যাচ জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারবে না। এই ইস্টবেঙ্গল বিপক্ষ দলকে ঠেকানোর ফুটবল খেলছে। চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে সেটাই করেছে।’’ মনোরঞ্জন আরও বললেন, ‘‘দল কোনও একদিন হয়তো জিতবে। প্রতিপক্ষের একদিন হয়তো খারাপ দিন যাবে, সেদিন আমাদের দল জিততে পারবে। এবারের ইস্টবেঙ্গল দলের ধারাবাহিকভাবে জেতার ক্ষমতা নেই।’’ ইস্টবেঙ্গলের আর এক ঘরের ছেলে প্রাক্তন গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট পাওয়াকে বড় করে দেখছেন না। বললেন, ‘‘গোটা ম্যাচে তো একটা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আমাদের দল। ইস্টবেঙ্গলের ভাগ্য ভাল, চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে ম্যাচটা হারেনি। শুধু ডিফেন্স করে তো ম্যাচ জেতা যায় না।’’