প্রতিবেদন : দোল (Holi) ও হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্য জুড়ে সজাগ ও সতর্ক রয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন। পাহাড় থেকে সাগর— সর্বত্র রয়েছে যথেষ্ট নজরদারি। কোথাও এতটুকু বেচাল দেখলেই কড়া ব্যবস্থা নিতে পিছ-পা হবে না প্রশাসন। কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের সমস্ত থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসারদের সর্তক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি সতর্কতা ও তৎপরতা থাকবে লালবাজারেও। কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা এবং ডিজি রাজীব কুমার দোল ও হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে বাহিনীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি এলাকা, অঞ্চল ও ব্লকে সর্তক থাকবেন নেতা-মন্ত্রী-জনপ্রতিনিধিরাও। সর্বোপরি বাংলার পাহারাদার হিসেবে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-হায়দরাবাদের ওসমানিয়া গোদাবরী ছাত্রাবাসের খাবারে ব্লেড, উত্তপ্ত কলেজ চত্বর
বাংলায় যে কোনও উৎসব বা মরশুমেই তিনি রাত জেগে সব খবরাখবর রাখেন। টানা যোগাযোগ রেখে চলেন আমলা ও পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে। নিরবছিন্ন যোগাযোগ থাকে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও। সম্প্রীতির বাংলায় কোনও রকম উসকানি ও প্ররোচনা বরদাস্ত করবে না প্রশাসন। এ-ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাল শুক্রবার দোলের সকাল থেকে রাস্তায় সতর্ক দৃষ্টি রাখবে ট্রাফিক পুলিশ। হেলমেটবিহীন বেপরোয়া গতির বাইক, চারচাকার গাড়ির ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা জুড়েও থাকছে বাড়তি সতর্কতা। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের তরফে এই মর্মে সার্কুলার পাঠানো হয়েছে থানাগুলিতে। রঙের উৎসবকে সামনে রেখে জনসংযোগে মাতবেন সর্বস্তরের নেতা-জনপ্রতিনিধিরা।