শ্যামল রায়, কৃষ্ণনগর : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে। বুধবার রাতে পৌঁছবেন কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউসে। কথা বলবেন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে প্রবল উদ্দীপনা জেলার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। উন্নয়ন নিয়ে কী বার্তা দেন তিনি, সকলে তাকিয়ে সেদিকে।
আরও পড়ুন-দ্রাবিড়-বিরাট প্রশংসা করায় আজাজ এখন স্বপ্নের উড়ানে
জেলার উন্নয়নমূলক কাজের বিষয়ে ঘোষণা করবেন তিনি। যেসব কাজ শেষ হয়েছে সেগুলির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর। পুলিশ সুপার ঈশানি পাল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ঘিরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ এবং সিভিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে মানুষের কোনও সমস্যা না হয় দেখতে। শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-টি-২০’র পর একদিনের দলেও চমক, বিরাটকে সরিয়ে অধিনায়ক রোহিত
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা ঘিরে শহর জুড়ে ব্যানার-পোস্টার ও নানা প্রকল্প বিষয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। নাকাশিপাড়া ছড়ি গঙ্গার উপর ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে বেড়েছে ২০ শয্যা-সহ অন্যান্য পরিকাঠামো। সেটিরও উদ্বোধন করবেন তিনি। এছাড়াও নবদ্বীপ, কৃষ্ণনগর, কল্যাণী, শান্তিপুর, করিমপুর কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট প্রভৃতি এলাকায় একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন-রুটের ভুল, একহাত নিলেন ওয়ার্ন
সেগুলির উদ্বোধনও করবেন। জেলার উন্নয়ন নিয়ে একাধিক বার্তা দেবেন। আগামী দিনে বিরোধী-শূন্য জেলা গড়ার লক্ষ্যে এগোতে চায় দল। সামনে পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই উন্নয়নের কথা বলার পাশাপাশি বিধানসভা এলাকাগুলিতে সাংগঠনিকভাবে যাতে দলকে শক্তিশালী করে নির্বাচনে জয় আসে সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেবেন নেতাদের। জেলায় রয়েছেন কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, রয়েছেন দাপুটে মহিলা নেত্রী সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এঁরা-সহ একাধিক নেতা আছেন সাংগঠনিক দায়িত্বে। দলকে শক্তিশালী, চাঙ্গা করতে তাই বৈঠকে গুরুত্ব পাবে একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে সাংগঠনিক নির্দেশ।