প্রতিবেদন : ডার্বি জেতার পর তিন-তিনটে ম্যাচ হয়ে গেল। এখনও জয় অধরা এটিকে মোহনবাগানের। শনিবার চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে প্রথমে গোল করেও ১-১ ড্র করল আন্তোনিও হাবাসের দল। পরপর দুটো হারের পর এক পয়েন্ট ঘরে এল। এটা ভেবেই সান্ত্বনা পেতে পারেন স্প্যানিশ কোচ। ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত লিগ টেবিলের ছ’নম্বরে রইল বাগান।
চোট সারিয়ে তিরি মাঠে ফিরলেও, সবুজ-মেরুন রক্ষণে যে খুব একটা উন্নতি হয়েছে, তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। এই ম্যাচেও চাপের মুখে বেশ কিছু ভুল করলেন হাবাসের ডিফেন্ডাররা। বিশেষ করে, চেন্নাইয়িনের দুই ভারতীয় ফুটবলার অনিরুদ্ধ থাপা ও ছাংতে সারাক্ষণ বিব্রত করে গেলেন তিরিদের।
এদিকে, জাতীয় শিবিরে যোগ দিতে জানুয়ারির শুরুতেই দেশে ফিরছেন হাবাসের সেরা স্ট্রাইকার রয় কৃষ্ণ। আগামী ১৪ মার্চ থেকে বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ম্যাচ রয়েছে ফিজির। তাই ফিজির কোচ ফ্লেমিং সেরিতস্লেভ ১০ জানুয়ারির মধ্যে কৃষ্ণকে শিবিরে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে ৮ জানুয়ারি ম্যাচ খেলেই দেশে ফিরে যাবেন কৃষ্ণ।
আরও পড়ুন : আজ সামনে কেরালা ব্লাস্টার্স, প্রথম জয়ের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের ১৮ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল বাগান। রয় কৃষ্ণর নিখুঁত থ্রু ধরে চমৎকার প্লেসিংয়ে বিপক্ষ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন লিস্টন কোলাসো। তবে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি চেন্নাইয়িন। বরং পরপর আক্রমণ শানিয়ে সবুজ-মেরুন রক্ষণকে চাপে রেখেছিল তারা। ২১ মিনিটে প্রায় গোল শোধ করে দিয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। কোনওরকমে সে যাত্রা রক্ষা করেন প্রীতম কোটাল। এর পরেও চেন্নাইয়ের একের পর এক আক্রমণ আছডে় পড়েছে বাগানের ডিফেন্সে। খুব বেশিক্ষণ এই আক্রমণ সামলাতে পারেননি তিরি-প্রীতমরা। বিরতির মিনিট খানেক আগে বক্সের সামান্য বাইরে থেকে জোরালো শটে ১-১ করে দেন চেন্নাইয়িনের বিদেশি মিডফিল্ডার ভ্লাদিমির কোমান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই হুগো বৌমাসকে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। কিন্তু বৌমাসের নেওয়া শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই সময় চেন্নাইয়িনকে রীতিমতো চেপে ধরেছিলেন কৃষ্ণরা। তবে বিরতির পর খেলার উন্নতি হলেও, গোলের দেখা পাননি হাবাসের ফুটবলাররা।