সৌমেন্দু দে, বোলপুর : পৌষমেলা করার দাবিতে পথে নামছেন লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পীরা। কারণ, তাঁদের জীবনজীবিকার ওপর আঘাত হানা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে দেশীয় জিনিসপত্র ব্যবহারের জন্য বলছেন। যে বিশ্বভারতীর তিনি আচার্য, তারই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী আচার্যের ‘ভোকাল ফর লোকাল’ স্লোগান নস্যাৎ করে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের দুয়ারে মাদ্রাসা শিক্ষকেরা
একের পর এক ঐতিহ্যপূর্ণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। যেসব অনুষ্ঠানে গরিব প্রান্তিক শিল্পী ও ব্যবসায়ীরা রোজগারের সুযোগ পান। হাতে মাত্র দেড় সপ্তাহ, বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে উপাচার্য এখনও সদর্থক ভূমিকা নিতে পারেননি। নানান অজুহাতে বন্ধ করে দিতে চাইছেন মেলা। এরই প্রতিবাদে আজ পথে নামলেন বোলপুর লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পীরা। তাঁদের বক্তব্য, করোনা সংক্রমণ আমাদের সমাজের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। বিধি মেনে আমাদের চলতে হবে।
আরও পড়ুন-বাবা-ই আইকন : বিকাল রাই
করোনার দোহাই দিয়ে পৌষমেলা করা যাবে না, এটা নিতান্তই হাস্যকর। মেলার সঙ্গে জড়িয়ে হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ী ও লোকশিল্পীর জীবনজীবিকা। এদিন দুপুরে শান্তিনিকেতন কবিগুরু মার্কেট থেকে আশ্রমপ্রাঙ্গণ পরিক্রমা করে উপাসনাগৃহের সামনে পর্যন্ত পদযাত্রা করেন লোকশিল্পী ও হস্তশিল্পীরা।
আরও পড়ুন-Sayoni Ghosh: পুরভোটে শেষ রবিবারের প্রচারে ঝড় সায়নী, বাপ্পাদিত্যের
স্থানীয় ব্যবসায়ী আমিনুল হুদা বলেন, কবিগুরু বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পৌষমেলা, মাঘমেলা, বসন্ত উৎসব-সহ একাধিক উৎসবের প্রচলন করেছেন যেখানে স্থানীয় হস্তশিল্প, লোকশিল্প, শ্রমিকদের কর্মকাণ্ডকে বিশ্বের দরবারে গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেছিলেন। পাশাপাশি উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রান্তিক মানুষদের বছরভর অন্নসংস্থানের উপায় বের করেছিলেন।
কিন্তু বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সুপরিকল্পিতভাবে রবীন্দ্র-আদর্শ বিরোধী কার্যকলাপ করে যাচ্ছেন একের পর এক। বোলপুর পুরসভা এবং ব্যবসায়ী সমিতির তরফে ওঁর কাছে বারংবার আবেদন করা হয়েছে। উনি সাড়াশব্দ দিচ্ছেন না। আমাদের প্রতিবাদ চলবে।