অভিরূপ ভট্টাচার্য : দেশের পাশাপাশি বৈদেশিক পুঁজিকে রাজ্যে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে চায় রাজ্য সরকার। সেকারণে এপ্রিলে আয়োজন করা হচ্ছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। পাশাপাশি বৃহৎ শিল্প পরিকাঠামোর সঙ্গে রাজ্যের নজরে রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মানোন্নয়ন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সিনার্জির আয়োজন করেছে রাজ্য সরকার। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনা দিয়ে শুরু হয়েছে এই সিনার্জি।
আরও পড়ুন-চটশিল্পকে বাঁচাতে কেন্দ্রকে পাটের দামের ঊর্ধ্বসীমা তুলে দেবার দাবি
এই জেলায় মূলত টেক্সটাইল ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের দিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর হাওড়ার সিনার্জিতে ইঞ্জিনিয়ারিং, হোসিয়ারি, জুয়েলারি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর হুগলির সিনার্জিতে প্রাধান্য পাবে কৃষিভিত্তিক শিল্প, সিল্ক প্রিন্টিং। নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানকে নিয়ে একসঙ্গে কৃষ্ণনগরে ২৮ ডিসেম্বর এবং পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াকে নিয়ে ২২ ডিসেম্বর দুর্গাপুরে সিনার্জি হবে।
আরও পড়ুন-পড়ুয়াদের দুয়ারে মাদ্রাসা শিক্ষকেরা
দুর্গাপুরে লোহা, স্টিল, সিমেন্ট, ফ্লাই অ্যাশের ইট, ইঞ্জিনিয়ারিং, পুরুলিয়ার লাক্ষা শিল্পের উপর জোর দেওয়া হবে। কৃষ্ণনগরের সিনার্জিতে গুরুত্ব পাবে টেক্সটাইল, কৃষিভিত্তিক শিল্প ও পর্যটন শিল্প ইত্যাদি। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদকে নিয়ে সিনার্জি বসবে ২০ জানুয়ারি। সেখানে কৃষিভিত্তিক শিল্প ও পর্যটনের দিকে বেশি জোর দেওয়া হবে। ২৮ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে কলকাতাকে জুড়ে দিয়ে একটাই সিনার্জি হবে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সার্জিক্যাল সামগ্রী, আগরবাতি, চামড়া ও পোশাক শিল্পের উপরে জোর দেওয়া হবে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিনার্জিতে গুরুত্ব পাবে ইঞ্জিনিয়ারিং, পোলট্রি ফার্ম, কৃষিভিত্তিক শিল্প, শালপাতা, জঙ্গলের সামগ্রীভিত্তিক নানা শিল্প।