প্রতিবেদন : কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের দৈন্যদশা এখন রাজনৈতিক মহলে কার্যত খোরাকের বিষয় হয়ে গিয়েছে। উন্নয়নের প্রশ্নে বাংলা যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির কাছেও মডেল তা বরাবর গেরুয়া শিবিরের আচরণেই প্রমাণিত হয়ে যাচ্ছে। শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ দিয়ে। যোগীর বিশাল কাট আউটের সঙ্গে উন্নয়নের প্রমাণ হিসেবে ফ্লাইওভারের ছবি দেওয়া হয়েছিল। কী আশ্চর্য সেই ফ্লাইওভারটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘ মা ফ্লাইওভারের।
আরও পড়ুন-ঘোষণার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই “গৃহলক্ষ্মী কার্ড” জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, প্রবল চাপে বিজেপি
এরপর এল উত্তরাখণ্ড। ঝলমলে বিমানবন্দরের ছবি দেখাতে গিয়ে সেখানকার বিজেপি সরকার ছাপল অন্ডাল বিমানবন্দরের ছবি। এখানেই শেষ নয়, দিন তিনেক আগে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার পথ নিরাপত্তার বিজ্ঞাপন করতে গিয়ে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারের ছবি দিল। স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মডেল বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিদিকে বলো এবং দুয়ারে সরকার দুটি প্রকল্পই দেশ জুড়ে দারুণভাবে আলোচিত।
আরও পড়ুন-উদয়শঙ্কর নৃত্যোৎসব
ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস পা রাখার পরেই ভিত নড়ে গিয়েছে বিজেপি সরকারের। আর জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার সহজ পদ্ধতি হিসেবে বেছে নিল ‘দিদিকে বলো’র নকল প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীকে বলো। তাতে অবশ্য ভবি ভোলার নয়। ত্রিপুরায় পালা বদল হচ্ছেই। গোয়াতেও ঝড় উঠেছে জোড়া ফুলের। আর সেই ঝড় থামাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ব্রেনচাইল্ড দুয়ারে সরকার প্রকল্প সরাসরি নকল করল। প্রকল্পের নাম ‘সরকার তুমচ্যা দারী’।
আরও পড়ুন-দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ৩৫, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সন্দিহান ‘হু’
দেখার মতো বিষয়, আপাতত বিজেপির এই পাঁচ টুকলি নিয়ে রাজনৈতিক মহল বলছে, আসলে তৃণমূল বিরোধিতা করতে গিয়ে বিজেপি বুঝেছে মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করতে তৃণমূলনেত্রীই দেশে উদাহরণ এবং সফল।
এবং কে না জানে সফল ব্যক্তির পিছনেই জনস্রোত বয়ে চলে।