রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : পাহাড়ের রোদ-ঝলমলে সকাল যেন রাতের চেয়েও অন্ধকার। মুখ থমথমে এলাকাবাসীদের। চোখের কোণে থমকে গিয়েছে জল। বৃদ্ধা মা বাক্রুদ্ধ। স্ত্রী মন্দিরা চুপ করে বসে রয়েছেন কফিনবন্দি স্বামীর দেহের পাশে। মাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন ছেলে বিকাল। সোমবার সকালে নিহত সেনা সৎপাল রাইয়ের পরিবার এবং গ্রামের চিত্রটা ছিল এমনই। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চোখের জল আর গান স্যালুটে বাড়ির পাশেই সমাধিস্থ করা হল বীরসেনাকে। ভোর থেকেই সৎপাল রাইয়ের দেহ সমাধিস্থ করার প্রস্তুতি শুরু হয়। সারারাত জাতীয় পতাকা দিয়ে মোড়া কফিনবন্দি সেনাকর্মীর দেহ ঘিরে রেখেছিল গোর্খা রেজিমেন্ট সেনাকর্মীরা।
আরও পড়ুন : সানাঝড় ৬২-তে , বিরোধীরাই নেই ৫১তে
ভোরের আলো ফুটতেই একে একে পাহাড়বাসী জড়ো হতে থাকেন সৎপাল রাইয়ের বাড়ির সামনে। শুধু পাহাড়বাসী নয় পাহাড়ের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীরাও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকেও শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন নেতা-নেত্রীরা। জেলা প্রশাসন পুলিশ প্রশাসন ও জিটিএ-র প্রতিনিধিও এদিন পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলার বীর সেনানীকে। রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযয়ের প্রতিনিধি হিসেবে এদিনও শিলিগুড়ি পুর কর্পোরেশনের প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বীরসেনাকে। শ্রদ্ধা জানান অনিত থাপা, বিমল গুরুং। পাহাড়ের বিভিন্ন কলেজ ও স্কুলের এনসিসি ক্যাডেটরাও শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন। বাড়ির সামনেও এদিন সেনাকর্মীরা গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জানান সৎপাল রায়কে। দীর্ঘক্ষণ শ্রদ্ধা জানানোর পর্ব শেষ হতেই কফিনবন্দি দেহ সমাধিস্থ করা হয়।