কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে টিকাকরণ নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জানতে চান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত টিকা নেওয়ার পর কত জনের মৃত্যু হয়েছে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে টিকাকরণ কর্মসূচি চালাচ্ছে তার মধ্যে কোভ্যাকসিন এবং কোভিশিল্ড অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কি না?
আরও পড়ুন-বিজেপি মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি
অভিজ্ঞতা বলছে, যে সমস্ত মানুষ কোভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়ছেন। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় বিভিন্ন দেশ বিশেষত ইউরোপের দেশগুলি এই ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিচ্ছে না। ফলে যাঁরা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁরা বিদেশে যেতে পারছেন না। এ ব্যাপারে হু-র সঙ্গে সরকার কি কোনও কথা বলেছে? তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। মন্ত্রী জানিয়েছেন, চলতি বছরের ২৬ জুলাই পর্যন্ত ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৭৯ জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল।
যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। মৃত ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য হু যে সমস্ত ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে তার মধ্যে কোভ্যাকসিন এখন নেই। তবে হু যাতে কোভ্যাকসিনকে তাদের তালিকাভুক্ত করে সেজন্য ভারত বায়োটেক সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ সফরের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে করোনা মহামারীর কারণে আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। একমাত্র জরুরি প্রয়োজনে বন্দে ভারত মিশনে কিছু বিমান চলছে।
আরও পড়ুন-আগামী শিক্ষাবর্ষেই চালু হবে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজ
বর্তমানে বেশিরভাগ দেশেই কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিমানে চড়ার অনুমতি দিচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি দেশ অবশ্য উড়ানে অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে। এই সমস্যা দূর করতে সরকার আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা ভারতীয় সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিনও যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মান্যতা পায় সে ব্যাপারে সরকার সব ধরনের আলোচনা চালাচ্ছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।