প্রধানমন্ত্রীর কাশী-বিশ্বনাথ মন্দিরের রাজনীতিকে কটাক্ষ করে নেত্রী বলেন, এই তো হল গঙ্গা মাইয়াকে শ্রদ্ধার নমুনা। কোভিড রোগী মারা যাচ্ছে আর তাদের ভাসিয়ে দিচ্ছে। সৎকার করছি আমরা। একদিকে ধর্মের নামে ভণ্ডামি। অন্যদিকে দেশের সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। প্রশ্ন তুলছে, কেন গোয়া এসেছি? বাঙালি জাতীয় সংগীত লিখতে পারে, গোয়া আসতে পারবে না! আমরা যখন মহাত্মা গান্ধীর কথা বলি তখন একবারও কি মনে হয় তিনি গুজরাতের মানুষ ছিলেন!
আরও পড়ুন-পদযাত্রায় প্রতিবাদ বিরোধীদের
লখিমপুরে কেন পদত্যাগ নয়?
সিটের রিপোর্ট বলছে, লখিমপুরে পরিকল্পিতভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। ভাবা যায় না। চলন্ত গাড়ি তুলে দেওয়া হল কৃষকদের উপর। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ধরনাস্থল। কেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আর দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করবেন না? কেন বিবৃতি দেবেন না প্রধানমন্ত্রী? কেন সংসদে আলোচনা হবে না? কেন বারবার সবকিছু এড়িয়ে যাবেন প্রধানমন্ত্রী?
কংগ্রেসের সঙ্গে ঝগড়া নেই
কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের কোনও ঝগড়া নেই। পাঁচ বছর আগে গোয়ার ভোটে সর্ববৃহৎ দল ছিল কংগ্রেস। তবু তারা সরকার গড়তে পারেনি। বিজেপি ম্যানডেট পয়সা দিয়ে কিনে নিয়েছিল। কংগ্রেসের ভাবা উচিত কেন তারা সরকার গড়তে পারল না। এ তো ব্যর্থতা। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করা। শুধু গোয়াতে তো নয়, গোটা দেশে তাই হচ্ছে। বড় বড় কথা বলছে। একা লড়ব বলছে। আরে আমার বিরুদ্ধেই তো লড়েছে। আমার স্পষ্ট কথা, আগে বিজেপিকে হারাও, তারপর বড় বড় কথা বলবে। আমরা হারিয়েছি। গোয়াতেও হারাব। এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। মরতে হলে মরব। কিন্তু কংগ্রেসের মতো নয়। বিজেপি বিরোধী জোট এক হোন।
আরও পড়ুন-এমপি কাপে গোলের উৎসব
জোট শেষ, এবার ভোটের লড়াই
বিজেপি বিরোধীদের বলব, ভোট ভাগাভাগি নয়। এমজিপির সঙ্গে জোট হয়েছে। মানুষ সর্বান্তকরণে আমাদের সমর্থন করছেন। তাঁদের সমর্থনই বুঝিয়ে দিচ্ছে আসল বিকল্প তৃণমূল। দেশে বিজেপির বিকল্প তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়ায় আমরাই জিতব। খেলা হবে। জোরদার খেলা হবে। আর একথাও বলতে চাই, ডোন ফুলঞ্চ কাল, গোয়েঞ্চি নভি সকাল। গোয়ার বুকে জোড়া ফুলের নতুন সরকার আমরা আনবই। অঙ্গীকার করছি সভা থেকে।
আরও পড়ুন-১৬ বছরের মধ্যে পাইকারি পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড আচ্ছে দিন–এর নমুনা!
গোয়া-বাংলার কত মিল
গোয়া আর বাংলার কত মিল। এখানে ফুটবল। বাংলাও ফুটবল অন্তপ্রাণ। এখানে ধর্মস্থান গির্জা। আমাদের ওখানেও অসংখ্য গির্জা। প্রত্যেক বছর নিয়ম করে আমি যাই। এখানে সমুদ্র। ওখানে সমুদ্র। গঙ্গাসাগর বাঙালির পবিত্র জায়গা। সেই পবিত্র জায়গাকে অপবিত্র জায়গা করেছে বিজেপি। গোয়া ছোট রাজ্য, কিন্তু সুন্দর। সকলে মিলেমিশে থাকে। কোথাও হিন্দু-মুসলিম-শিখ- ইসাই ভেদাভেদ নেই। কেন থাকবে? সকলে মানুষ। এই পরিচয় শেষ কথা। বিজেপি এই পরিচয় মুছে দিতে চাইছে। তাই ওদের হঠাতে হবে। কৃষক থেকে মৎস্যজীবী, পড়ুয়া থেকে বাড়ির মহিলা, সকলের জন্য কাজ করবে তৃণমূল কংগ্রেস। আপনারা হাতে হাত মেলান। গোয়া থেকে বিজেপি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। গোয়ার শাসনভার থাকবে গোয়ার মানুষের হাতেই। বাংলার প্রকল্প চালু হবে দ্বীপরাজ্যেও।