রিতিশা সরকার, শিলিগুড়ি : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দিয়েছেন জিটিএ নির্বাচনের। তার আগেই জিএনএলএফকে ব্যবহার করে গোটা পাহাড়জুড়ে অশান্তির চক্রান্ত চালাচ্ছে বিজেপি। দীর্ঘ দিন বাদে পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে অশান্ত পাহাড়ে নেমে আসে শান্তি। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ গঠন করেন। এরপরে জিটিএর মাধ্যমেই পাহাড়ে ঢালাও উন্নয়ন হয়েছে। পাহাড়ের মুখে ফুটেছে একরাশ হাসি। কিন্তু এই হাসি কেড়ে নিতে চাইছে বিজেপি। পুরনো কায়দাতেই পাহাড়ে দাঙ্গা লাগাতে চাইছে। পাহাড়ে বিজেপির অন্যতম প্রধান শরিক দল জিএনএলএফ। জিএনএলএফ ব্যবহার করেই ক্রমশ অশান্তির ছক তৈরি করছে ভাজপা।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কার্শিয়াং-এর প্রশাসনিক বৈঠকে অনীক থাপা ও রোশন গিরিরা জিটিএ নির্বাচনের দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁদের দাবি মেনে জিটিএ নির্বাচন করার কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে জিটিএ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ঠিক তার আগেই পুরনো ছক ব্যবহার করে অশান্তির ছক তৈরি করছে মোদির দল। ইতিমধ্যে জিএনএলএফের দার্জিলিং ব্রাঞ্চের মুখপাত্র সন্দীপ নিম্বু একপ্রকার হুমকি সুরেই জিটিএ নির্বাচন বাতিলের দাবি তুলেছে।
আরও পড়ুন:Mamata Banerjee: কলকাতার জন্য একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তিনি সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন কোনওভাবেই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হতে দেবে না তারা। হুমকি ছাড়াও জিএনএলএফ পাহাড় জুড়ে দার্জিলিং কার্শিয়াং কালিম্পংয়ের বিভিন্ন এলাকায় জিটিএ বাতিলের দাবীতে পোস্টারিং করেছে। এমনকী পাহাড়ের সমস্যার পার্মানেন্ট সমাধান চেয়েছে। কিন্তু আসলে পার্মানেন্ট সমস্যা সমাধান কী সেই বিষয় নিয়ে তাঁরা কিছুই বলছেন না। অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, কোনও পার্মানেন্ট সমস্যা সমাধান বলে তাঁদের কাছে কিছু নেই। সবাই জানে পাহাড়ে বিজেপির শরিক দল জিএনএলএফ। বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নির্বাচনে হেরেছে। সাধারণ মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। আর এখন শান্ত পাহাড়কে অশান্ত করতে জিএনএলএফকে ব্যবহার করছে তারা। বিজেপির একটাই উদ্দেশ্য পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করা। তারা জিএনএলএফকে ব্যবহার করেই অশান্তির সৃষ্টি করছে, দাঙ্গা লাগানোর চক্রান্ত করছে পাহাড়ে। কিন্তু সাধারণ মানুষ জানে তারা বুঝে গেছে পাহাড়ে উন্নয়ন চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব তাই তাদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করবে সাধারণ মানুষই।