সংবাদদাতা, কাঁথি : গোটা রাজ্যেই বিজেপির (BJP) সাম্রাজ্য তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে। এমনকী গলাবাজি-করা বিরোধী দলনেতার নিজের ঘনিষ্ঠরাও হয় বিদ্রোহ করছেন, নয়তো তাঁকে ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে (Trinamool Congress) যোগ দিচ্ছেন। সামনেই কাঁথি পুরসভা নির্বাচন। তার আগে দলের মধ্যে ‘বিদ্রোহে’ রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP) শিবির। বেসুরো গাইছেন কাঁথির সাত নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ নেতা অতনু গিরি ওরফে পানু। তাঁর স্ত্রী সুমিতাও প্রাক্তন কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন-জলজমা-যানজট মুক্ত হবে Behala, নির্বাচনীপ্রচার মঞ্চ থেকে প্রতিশ্রুতি দিলেন Mamata Banerjee
অতনু-র দাবি, ‘‘বিজেপি সম্প্রদায়িক দল। দাঙ্গা লাগানোর জন্য সবসময় কর্মসূচি নিচ্ছে। এটা আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। কারণ কাঁথিতে সব সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে বাস করেন।’’ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কাঁথি ডর্মেটরি মাঠে, ২০২১-এর শুরুতে কাঁথির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী-সহ বেশ কয়েকজন শুভেন্দুর উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেন। অতনু ছিলেন সেই দলে। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিজেপি সম্পর্কে অতনুর মোহভঙ্গ হল। বললেন, ‘‘বিজেপিতে যাওয়াটা অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। ভুল করেছিলাম। শুধরে নিয়েছি। তাছাড়া বাস্তবে বিজেপিতে কাজ করার কোনও পরিবেশ নেই। ওখানে থেকে মানুষের জন্য কাজ করা যাবে না।’’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রিয় এই নেতা আরও জানান, ‘‘আমরা মানসিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়া হয়নি।’’ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘‘শুধু অতনু নন, তাঁর সঙ্গে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিলেন, আজ সকলেই হাত কামড়াচ্ছেন। পুর নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে বিজেপি শিবিরে অস্বস্তি আরও বাড়বে। বিজেপি দলটা ক্রমশ সাইনবোর্ডে পরিণত হবে।’’