আগরতলা : উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশের বাস্তবতা বুঝিয়ে দিলেন সুবল ভৌমিক ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরভোটে বিরোধীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং ত্রিপুরায় বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের উপর বিজেপি’র লাগাতার আক্রমণের ছবি তুলে ধরে দুই রাজ্যের প্রকৃত অবস্থার পার্থক্য কোথায় তা স্পষ্ট করে দিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-‘বাংলায় আইটি সেক্টর নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে’, টুইট করে শুভেচ্ছাবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘কলকাতা পুরভোটে কোনও বিরোধী প্রার্থী বলতে পারবেন না তাঁরা ঠিকভাবে প্রচার করতে পারেননি। একটা উদাহরণও দেওয়া যাবে না। আর ত্রিপুরায় পরিস্থিতি ঠিক উল্টো। এখানে আগরতলা পুরভোটে তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে বিজেপি’র গুন্ডাবাহিনী। পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। উলটে আক্রান্ত কর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে। ত্রিপুরায় অন্তত ১০ জন বিরোধী প্রার্থী ভোট দিতে পারেননি। তাঁদের হয়ে ছাপ্পা ভোট দিয়েছে বিজেপির গুন্ডারা। কলকাতায় এমন ঘটনা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন-কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর নিয়ে সংসদে তৃণমূলের প্রশ্ন
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা মনে করিয়ে দেন আগরতলা পুরভোটে তৃণমূল কংগ্রেস মাত্র দু’ মাসে ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে কলকাতায় বহু প্রচার করেও বিজেপি প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে তিন নম্বরে নেমে গিয়েছে। গতবারের আসন সংখ্যা সাত থেকে কমে হয়েছে তিন। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে ত্রিপুরার তৃণমূল নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেন, বাংলায় যখন বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরছে তখন ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকারের বিভেদের রাজনীতি ও অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে তৃণমূলকেই প্রকৃত বিকল্প মনে করছেন মানুষ।
আরও পড়ুন-ব্যাঙ্ক বেসরকারীকরণের সাফাই
মঙ্গলবার কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের খবর আসার পরেই ত্রিপুরায় সবুজ আবির মেখে মিষ্টিমুখ করেন দলের নেতা-কর্মীরা। কর্মীদের এই আনন্দ উচ্ছ্বাস ভাগ করে নেন সুবল ভৌমিক-সহ ত্রিপুরার অন্য নেতারাও।