সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : তাঁর জন্যই গত দু বছর ধরে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যময় পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না। সেই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Bidyut Chakraborty) সাতই পৌষের উপাসনায় আচার্যের ভাষণ দিতে গিয়ে মেলা না হওয়ার জন্য ‘কুম্ভীরাশ্রু’ বিসর্জন করলেন। প্রথা ভেঙে রাজ্য সরকারকে আক্রমণও করলেন। উপাচার্যের ন্যক্কারজনক ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে তাঁকে সরাসরি মিথ্যাবাদী বললেন মন্ত্রী ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী চন্দ্রনাথ সিংহ।
আরও পড়ুন-উৎসবে প্রস্তুত Digha
বৃহস্পতিবার সকালে প্রথা মেনে ছাতিমতলায় ব্রহ্ম উপাসনার মধ্য দিয়ে ১৪২৮ বঙ্গাব্দের পৌষ উৎসবের সূচনা হল। সেখানে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী-অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের প্রবেশাধিকার ছিল। উপাচার্য বলেন, ‘অন্যান্য সকল মানুষের মতো আমার মনও ভারাক্রান্ত। ফাঁকা পৌষমেলার মাঠ দেখে আমার চোখেও জল।’ সঙ্গে মেলা না করার জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর বিশ্বভারতী রাজ্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বারবার চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে, মেলা করা সম্ভব কি না। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও উত্তর আসেনি। তাই এ বছর পৌষমেলা করা সম্ভব হয়নি।’ উপাচার্যের এই বক্তব্য যে সর্বৈব মিথ্যা, তা স্পষ্ট জানিয়েছেন বস্ত্রমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মেলায় (Poush Mela) তাঁর সম্মতি যদি না থাকত, তা হলে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বোলপুরবাসী (Bolpur) কীভাবে এত বড় মেলার আয়োজন করতে পারত!’ প্রাক্তন উপাচার্য সবুজকলি সেনের আক্ষেপ, ‘আচার্যের ভাষণে তো রাজনীতি আসে না। বিশ্বভারতীর উপাচার্য রাজনীতির লোক, তাই এনেছেন।’ প্রসঙ্গত, বাংলা সংস্কৃতিমঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির যৌথ উদ্যোগে এবং বোলপুর পুরসভা ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ডাকবাংলো মাঠে বিশাল আকারে পৌষমেলা হচ্ছে। ৮০০ স্টল রয়েছে মেলায়।