সংবাদদাতা, কুলতলি : এক বাঘেই নাস্তানাবুদ পুলিশ। বনকর্মী থেকে কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। টানা পাঁচ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালি নদীর তীরবর্তী ডোংরাজোড়ার পাশাপাশি তিনটি পাড়ায় কার্যত বাঘে-মানুষে লুকোচুরি চলছে। কয়কদিনে বেশ কয়েকবার দক্ষিণরায়ের (Tiger in Kultali) দেখা মিলেছে। গগনভেদী গর্জনও শোনা গিয়েছে বারে-বারে। মিলেছে পায়ের ছাপ। যার জেরে মানুষ তটস্থ, আতঙ্কিত। বাঘের ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন গ্রামবাসীরা। বনদফতর ও পুলিশ বাঘটিকে খাঁচাবন্দি বা ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে শিকার করার জন্য কসুর করছেন না। কিন্তু টানা পাঁচদিনেও সুন্দরবনের মহারাজ অধরা। আতঙ্কের মধ্যেও উৎসুক মানুষের ভিড় এড়াতে সোমবার থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। বনদফতরও বাঘ শিকারের রণকৌশল বদল করেছে। ঘটনাস্থলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বনপাল মিলন মণ্ডল ও অতিরিক্ত বনপাল অনুরাগ ঠাকুর উপস্থিত আছেন।
আরও পড়ুন-Snowfall: তুষারপাতের জেরে বন্ধ সিকিমের সিল্ক রুট
আজ সকালে ম্যানগ্রোভের জঙ্গলটিকে তিন ভাগে ভাগ করে নেয় বনদফতর। শেখপাড়াকে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। বনকর্মীরা দুটি দলে ভাগ হয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করে। একদল পটকা ফাটাতে শুরু করে। অন্যদল ঘুমপাড়ানি গুলিভর্তি বন্দুক নিয়ে তৈরি ছিল। কয়েক ঘণ্টা ধরে বাঘ শিকারের জন্য জঙ্গলে তন্ন-তন্ন করে অভিযান চলে। কিন্তু শেষমেশ বাঘের সন্ধান মেলেনি। রাতেও অভিযান চলবে বলে বনকর্মীরা জানিয়েছেন। রবিবার রাতে বাঘটি জালে আঁচড় দেয় বলে বনকর্মীরা জানিয়েছে। কয়েক জায়গায় জাল ছেঁড়া ছিল। বাঘটি (Tiger in Kultali) অতীতে খাঁচাবন্দি হয়েছিল বলে অনুমান বনকর্মীদের। যার ফলে ছাগলের টোপ দিয়েও বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা যাচ্ছে না। অতীতে ২৭ দিন লোকালয়ে থাকার পর খাঁচাবন্দি হয়। এবারও কি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাঘ বন্দি হবে? মুখ্য বনপাল মিলন মণ্ডল জানান, বাঘটিকে খাঁচাবন্দি বা ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে শিকার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।